ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০১৫
  • ৩৯০ বার
সমুদ্রে নৌকায় করে ভাসছে, এরকম প্রায় সাত হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে সাময়িক আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ওই বৈঠকে থাইল্যান্ডও অংশ নিয়েছে। তিনটি দেশই অভিবাসীদের সবরকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যাতে, আন্তর্জাতিক সহায়তায় আগামী একবছরের মধ্যে তারা অন্য কোন দেশে তাদের আবাস খুঁজে নিতে পারে। নৌকায় ভাসতে থাকা মানুষদের অবস্থা নিয়েও দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রধানত মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা পালিয়ে এসব দেশে যাবার চেষ্টা করছে। তাদের সাথে অনেক বাংলাদেশীও মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এই সম্মেলনে অংশ নেয়নি মিয়ানমার। ওদিকে সমুদ্রে ভাসমান বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিপাইন সরকার। সমুদ্রে ভাসমান অবৈধ হাজার হাজার অভিবাসীকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রাজধানী ম্যানিলা প্রশাসন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।

দক্ষিণ-পূর্ব-এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো যখন মরিয়া অভিবাসীদের নিয়ে পিং-পং খেলা খেলছে, তখন মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চায় ফিলিপাইন। জাতিসংঘের শরণার্থী নীতির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রসমূহের একটি ফিলিপাইন। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মুসলমানরা যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি থেকে ও দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত বাংলাদেশীরা উন্নত জীবিকার আশায় পালিয়ে ফিলিপাইনে আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন। এমন একটি সূত্র উল্লেখ করে স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের প্রায় ৮,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে উপকূল থেকে ফিরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ফিলিপাইনের।

এ ধরনের খবরের সত্যতা প্রত্যাখ্যান করেছে ম্যানিলা এবং অভিবাসীদের জন্য মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর মুখপাত্র হারমিনিও কোলোমা বলেছেন, ফিলিপাইন বোটে থাকা মানুষদের প্রতি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করেছে ফিলিপাইন এবং ৭০ এর দশকে ভিয়েতনামের আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য একটি শরণার্থী কেন্দ্রও গড়ে তুলেছিল। কোলোমা আরও বলেন, জীবন বাঁচাতে আমরা আমাদের অংশের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবো। এদিকে ম্যানিলার এ বিবৃতি আশার আলো জাগাচ্ছে। এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াও  থাইল্যান্ড প্রায় ৩,০০০ অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু, সাগরে ভাসমান অবস্থায় অনিশ্চিত জীবনের মুখে রয়েছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসী।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর মুখপাত্র জো লোওরি বলেছেন, এটা আশাব্যঞ্জক লক্ষণ। আমরা আশা করি, এ অঞ্চলের সরকারসমূহও তাদের নিজেদের অবস্থানেরও ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবেন। তিনি বলেন, আমরা ১০ দিন ধরে বলছি যে, সরকারসমূহের (ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড) উচিত অভিবাসীদের তীরে ভিড়তে দেয়া। আমরা জানিনা এ পর্যন্ত কতোজন প্রাণ হারিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া

আপডেট টাইম : ০৩:০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০১৫
সমুদ্রে নৌকায় করে ভাসছে, এরকম প্রায় সাত হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে সাময়িক আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ওই বৈঠকে থাইল্যান্ডও অংশ নিয়েছে। তিনটি দেশই অভিবাসীদের সবরকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যাতে, আন্তর্জাতিক সহায়তায় আগামী একবছরের মধ্যে তারা অন্য কোন দেশে তাদের আবাস খুঁজে নিতে পারে। নৌকায় ভাসতে থাকা মানুষদের অবস্থা নিয়েও দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রধানত মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা পালিয়ে এসব দেশে যাবার চেষ্টা করছে। তাদের সাথে অনেক বাংলাদেশীও মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এই সম্মেলনে অংশ নেয়নি মিয়ানমার। ওদিকে সমুদ্রে ভাসমান বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিপাইন সরকার। সমুদ্রে ভাসমান অবৈধ হাজার হাজার অভিবাসীকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রাজধানী ম্যানিলা প্রশাসন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।

দক্ষিণ-পূর্ব-এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো যখন মরিয়া অভিবাসীদের নিয়ে পিং-পং খেলা খেলছে, তখন মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চায় ফিলিপাইন। জাতিসংঘের শরণার্থী নীতির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রসমূহের একটি ফিলিপাইন। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মুসলমানরা যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি থেকে ও দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত বাংলাদেশীরা উন্নত জীবিকার আশায় পালিয়ে ফিলিপাইনে আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন। এমন একটি সূত্র উল্লেখ করে স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের প্রায় ৮,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে উপকূল থেকে ফিরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ফিলিপাইনের।

এ ধরনের খবরের সত্যতা প্রত্যাখ্যান করেছে ম্যানিলা এবং অভিবাসীদের জন্য মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর মুখপাত্র হারমিনিও কোলোমা বলেছেন, ফিলিপাইন বোটে থাকা মানুষদের প্রতি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করেছে ফিলিপাইন এবং ৭০ এর দশকে ভিয়েতনামের আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য একটি শরণার্থী কেন্দ্রও গড়ে তুলেছিল। কোলোমা আরও বলেন, জীবন বাঁচাতে আমরা আমাদের অংশের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবো। এদিকে ম্যানিলার এ বিবৃতি আশার আলো জাগাচ্ছে। এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াও  থাইল্যান্ড প্রায় ৩,০০০ অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু, সাগরে ভাসমান অবস্থায় অনিশ্চিত জীবনের মুখে রয়েছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসী।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর মুখপাত্র জো লোওরি বলেছেন, এটা আশাব্যঞ্জক লক্ষণ। আমরা আশা করি, এ অঞ্চলের সরকারসমূহও তাদের নিজেদের অবস্থানেরও ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবেন। তিনি বলেন, আমরা ১০ দিন ধরে বলছি যে, সরকারসমূহের (ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড) উচিত অভিবাসীদের তীরে ভিড়তে দেয়া। আমরা জানিনা এ পর্যন্ত কতোজন প্রাণ হারিয়েছেন।