হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ফণী বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বাড়ছে তার গতিবেগ। বাংলাদেশে আঘাত হানার আগে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূলের নিম্নাঞ্চল।
আবহাওয়া অফিসের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়, অমাবস্যা থাকায় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে এই জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে।
বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ তিরে আছড়ে পড়ছে। ছবিটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তোলা। আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পটুয়াখালীর পায়রা ও বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ফণীর কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়েই থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ তিরে আছড়ে পড়ছে। ছবিটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তোলা। আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ৩ মে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যার দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উচ্চতার জলোচ্ছাস দেখা গিয়েছিল। তখন ১০ থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছিল চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। বাতাসের গতি ছিল সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার।