ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে কোনো কুঁড়ে ঘর থাকবে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৭৪ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো কুঁড়ে ঘর থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো কুঁড়েঘর থাকুক, তা আওয়ামী লীগ চায় না। আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের আগেই দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ে উন্নীত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন। জনসভায় বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আগের বার যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন এ অঞ্চলে মঙ্গা দূর করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আবারও এখানে মঙ্গা নেমে আসে। তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে আবার আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসি, আবারও জনগণের স্বার্থে কাজ শুরু করি। এ অঞ্চলের মঙ্গা দূর করে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বরণের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, কোনো সরকারই স্থল সীমান্ত সমস্যা, সমুদ্রসীমা সমস্যা, ছিটমহল সমস্যার সমাধান করতে পদক্ষেপ নেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এসব সমস্যার সমাধান করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছিটমহল সমস্যার সমাধান করে আওয়ামী লীগ সরকার এখানকার বাসিন্দাদের ৬৮ বছরের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়েছে। এখন থেকে আর ছিটমহল বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি বলেন, এখানে শিল্পোন্নয়ন ঘটানো হবে। রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করা হবে। নদী ড্রেজিং করা হবে। জেলায় ‍আলাদা স্টেডিয়াম বানানো হবে। শেখ হাসিনা বলেন, কেবল কুড়িগ্রামই নয়, পুরো বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে দাবি-দাওয়ার প্রয়োজন নেই। উন্নয়নের জন্য কী করতে হবে, তা আওয়ামী লীগ ভালোভাবে জানে। আমাদের উন্নয়ন নীতিমালা আছে। আমরা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের এই উন্নয়ন খালেদা জিয়ার পছন্দ হয় না। সে কারণে দেশকে অস্থিতিশীল রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন তিনি। ২০১৩ সালে নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষ মেরেছে। তারা মানুষ নয়, তারা জানোয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। খালেদা জিয়া দেশে থেকে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন, এখন বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র করছেন। শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও মাদকসেবন বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের স্থান হবে না। সরকার ইতোমধ্যেই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বসভায় যেন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো কুঁড়ে ঘর থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো কুঁড়েঘর থাকুক, তা আওয়ামী লীগ চায় না। আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের আগেই দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ে উন্নীত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। দেশ হবে দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে কোনো কুঁড়ে ঘর থাকবে না

আপডেট টাইম : ১০:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো কুঁড়ে ঘর থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো কুঁড়েঘর থাকুক, তা আওয়ামী লীগ চায় না। আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের আগেই দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ে উন্নীত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন। জনসভায় বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আগের বার যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন এ অঞ্চলে মঙ্গা দূর করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আবারও এখানে মঙ্গা নেমে আসে। তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে আবার আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসি, আবারও জনগণের স্বার্থে কাজ শুরু করি। এ অঞ্চলের মঙ্গা দূর করে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বরণের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, কোনো সরকারই স্থল সীমান্ত সমস্যা, সমুদ্রসীমা সমস্যা, ছিটমহল সমস্যার সমাধান করতে পদক্ষেপ নেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এসব সমস্যার সমাধান করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছিটমহল সমস্যার সমাধান করে আওয়ামী লীগ সরকার এখানকার বাসিন্দাদের ৬৮ বছরের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়েছে। এখন থেকে আর ছিটমহল বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি বলেন, এখানে শিল্পোন্নয়ন ঘটানো হবে। রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করা হবে। নদী ড্রেজিং করা হবে। জেলায় ‍আলাদা স্টেডিয়াম বানানো হবে। শেখ হাসিনা বলেন, কেবল কুড়িগ্রামই নয়, পুরো বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে দাবি-দাওয়ার প্রয়োজন নেই। উন্নয়নের জন্য কী করতে হবে, তা আওয়ামী লীগ ভালোভাবে জানে। আমাদের উন্নয়ন নীতিমালা আছে। আমরা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের এই উন্নয়ন খালেদা জিয়ার পছন্দ হয় না। সে কারণে দেশকে অস্থিতিশীল রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন তিনি। ২০১৩ সালে নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষ মেরেছে। তারা মানুষ নয়, তারা জানোয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। খালেদা জিয়া দেশে থেকে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন, এখন বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র করছেন। শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও মাদকসেবন বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের স্থান হবে না। সরকার ইতোমধ্যেই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বসভায় যেন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো কুঁড়ে ঘর থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো কুঁড়েঘর থাকুক, তা আওয়ামী লীগ চায় না। আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের আগেই দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ে উন্নীত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। দেশ হবে দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ।