ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রসুনের বাম্পার ফলনেও হতাশ কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮
  • ৫২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখন মাঠ থেকে রসুন তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুর উপজেলা এ বছর বিনা চাষে রসুনের আবাদ আশানুরূপ ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ার পরেও রসুনের বর্তমান বাজার দর কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষককূল। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উৎপাদন খরচ কম, ভালো ফলন ও কম সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকের কাছে বিনা চাষে রসুনের আবাদ অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে উপজেলার কৃষকেরা রসুন চাষের প্রতি ঝুঁকছে।

প্রতি বছরই বিনা চাষে রসুনের আবাদ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বর্তমানে উপজেলায় ২২৯৫ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমান এবং বিগত দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। মঙ্গলবার সকালে সরজমিন দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠে মাঠে লাগানো রসুন তুলা ও বাজারজাতকরনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে এই অঞ্চলের কৃষক-কৃষানীরা। এসময় উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রসুন চাষী মোস্তফার সঙ্গে কথা বললে তিনি হাওর বার্তাকে বলেন, এই অঞ্চলের অনেক কৃষকই বিগত দিনে রসুনের চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

এবছর আমিও ৫ বিঘা রসুনের চাষ করেছি। রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু বর্তমানে রসুনের বাজার দর কম (১ হাজার থেকে ১,২০০টাকা) হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এমন দাম হলে রসুন চাষে যা খরচ হয়েছে তার অর্ধেক ও উঠবেনা। উপজেলার রসুন চাষী মনির হোসেন বলেন, এবছর আমাদের এলাকায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে তবে বাজারে রসুনের দাম কম থাকায় এই এলাকার প্রায় রসুন চাষীদেরই লোকসান হবে। তিনি আরো বলেন, এমন হলে আগামীতে এই অঞ্চলে রসুন চাষ কম হবে। রসুন চাষী আব্দুল মজিদ বলেন, গত বছর এই অঞ্চলের কৃষকের প্রতি বিঘায় ২৫-৩০ মন রসুন হয়েছিলো। যার প্রতি মন ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রসুনের বাম্পার ফলনেও হতাশ কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখন মাঠ থেকে রসুন তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুর উপজেলা এ বছর বিনা চাষে রসুনের আবাদ আশানুরূপ ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ার পরেও রসুনের বর্তমান বাজার দর কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষককূল। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উৎপাদন খরচ কম, ভালো ফলন ও কম সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকের কাছে বিনা চাষে রসুনের আবাদ অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে উপজেলার কৃষকেরা রসুন চাষের প্রতি ঝুঁকছে।

প্রতি বছরই বিনা চাষে রসুনের আবাদ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বর্তমানে উপজেলায় ২২৯৫ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমান এবং বিগত দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। মঙ্গলবার সকালে সরজমিন দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠে মাঠে লাগানো রসুন তুলা ও বাজারজাতকরনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে এই অঞ্চলের কৃষক-কৃষানীরা। এসময় উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রসুন চাষী মোস্তফার সঙ্গে কথা বললে তিনি হাওর বার্তাকে বলেন, এই অঞ্চলের অনেক কৃষকই বিগত দিনে রসুনের চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

এবছর আমিও ৫ বিঘা রসুনের চাষ করেছি। রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু বর্তমানে রসুনের বাজার দর কম (১ হাজার থেকে ১,২০০টাকা) হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এমন দাম হলে রসুন চাষে যা খরচ হয়েছে তার অর্ধেক ও উঠবেনা। উপজেলার রসুন চাষী মনির হোসেন বলেন, এবছর আমাদের এলাকায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে তবে বাজারে রসুনের দাম কম থাকায় এই এলাকার প্রায় রসুন চাষীদেরই লোকসান হবে। তিনি আরো বলেন, এমন হলে আগামীতে এই অঞ্চলে রসুন চাষ কম হবে। রসুন চাষী আব্দুল মজিদ বলেন, গত বছর এই অঞ্চলের কৃষকের প্রতি বিঘায় ২৫-৩০ মন রসুন হয়েছিলো। যার প্রতি মন ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছে।