অন্যসব বছরের মত এ বছরেও দেশের ঈদ-উল ফিতরের সর্ববৃহৎ জামাত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঈদের এ জামাতকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসন।
এবার শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ১৮৮তম ঈদ-উল ফিতরের জামাত। জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।। ঈদের এ জামাতে ইমামতি করবেন ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
এবারের ঈদের জামাতে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, এলাকার বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নামাজ আদায় করবেন বলে জানা গেছে। মুসল্লিগণ যেন বাংলাদেেেশর সবচেয়ে বড় ঈদের এ জামাত শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারেন তার জন্য দফায় দফায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ।
ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের এ জামাতে অংশ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের প্রধান প্রধান ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জি এস এম জাফরউল্লাহ জানান, শোলাকিয়া ঈদগাহ প্রতিবছরের মতো এবারো বৃহৎ এ জামাতে অংশগ্রহণের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ বাংলাদেশে অবস্থান করা বিশ্বের মুসলিম দেশসমূহের কুটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা এবং নজরদারির ব্যবস্থা। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, দেশ বিদেশের লাখো মুসল্লিদের কথা বিবেচনায় রেখে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠের প্রতিটি পয়েন্টে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। থাকবে ৪ স্তরের নিরাপত্তা।
তিনি জানান, নামাজের পূর্বে মাঠ সুইপিং করা হবে। পুরো ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। যানজট যেন সৃষ্টি না হয় তার জন্য ঈদের দিন সকাল থেকে শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
গত জামাতে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হয়েছিল বলে জানা যায়। ঐতিহাসিক এ জামাতে শরীক হওয়ার জন্য দেশ বিদেশ থেকে লাখো মানুষ ছুটে আসেন কিশোরগঞ্জে।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার চার লক্ষাধিক মুসল্লি এ মাঠে নামাজ পড়বে বলে আশা করছেন। ঈদের বেশ কয়েকদিন আগেই দূরের মুসল্লিরা কিশোরগঞ্জ চলে আসেন এবং তারা আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় ও আবাসিক হোটেলে আবস্থান করেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঈদেও দিন সকালে এ ট্রেনগুলো কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় ভৈরব ও ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।