হাওর বার্তা ডেস্কঃ দ্বিতীয় মেয়াদে আজ রাষ্ট্রপতি হয়েছি। এতে আমি খুশি হলেও তোমরা খুশি হতে পারোনি। কারণ বুড়া বাতিল না হলে তোমাদের পথ পরিষ্কার হচ্ছে না। বড় ভাইয়ের বিয়ে না হলে যেমন ছোট ভাই বিয়ে করতে পারে না—তেমনই ব্যাপার। তবে হতাশ হইয়ো না। বুড়া হয়ে গেছি আগামী পাঁচ বছর বাঁচবো কিনা ঠিক নাই।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রসিকতা করে এ বক্তব্য দেন।
গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়টির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন নোবেল বিজয়ী রসায়নবিদ রবার্ট হিউবার। তাঁকে ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রপতি গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে আরও বলেন, আগের মতো ফ্রি স্টাইলে চললে চলবে না। তোমরা দেশের উচ্চতর দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ। দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকো না কেন, এ দেশ ও এ দেশের জনগণের কথা ভুলবে না।
রাষ্ট্রপতি রসিকতা করে বলেন, ‘যশোর অঞ্চলে এসে লিখিত বক্তব্যের বাইরে কথা বলতে ভয় পাই। কি বলতে কি বলে ফেলাই। কারণ এখানকার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। এ সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭০ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে আটজন চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, পাঁচজন ভাইস চ্যান্সেলর পদক এবং ৫৬ জন ডিনস পদক পান।
সমাবর্তন বক্তা রবার্ট হিউবার গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, ‘খাদ্য, শক্তি ও পরিবেশ বিপর্যয় এখন মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের। কিন্তু এরও সমাধান রয়েছে তোমাদের মতো যুব সমাজের মাথায়। তোমরাই যেকোনো দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত বছর সরকার তোমাদের প্রতি শিক্ষার্থীর পেছনে বছরে ৮৫ হাজার ৯৬৫ টাকা ব্যয় করেছে। সরকার এই টাকা পেয়েছে এ দেশের চাষি, শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষের কাছ থেকে। তাই তোমরা তাদের কাছে ঋণী। এই ঋণ তোমাদের শোধ করতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন।