নির্ধারিত সময়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারের বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এ জন্য সংগ্রহের সময় আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে।
এ বছর বোরোতে সাত বিভাগ থেকে মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার টন সিদ্ধ চাল, ৫০ হাজার টন আতপ চাল ও ১ লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চালের সংগ্রহ মূল্য ৩২ টাকা ও ধানের ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বোরো ধান-চাল সংগ্রহের সময় নির্ধারিত ছিল গত ১ মে থেকে ৩১ আগস্ট। খাদ্য অধিদফতরের সংগ্রহ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সিদ্ধ ও আতপ মিলেয়ে ৮ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও ৪৫ হাজার টনের মতো ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। ১ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল ও ৫৫ হাজার টন ধান সংগ্রহ বাকি থাকতেই সময় শেষ হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) মো. আতাউর রহমান সংগ্রহের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এবার মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তিতে একটু দেরি হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতেও সমস্যা হয়েছে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ে সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সংগ্রহের সময় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’
খাদ্য অধিদফতরের সংগ্রহ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, সিদ্ধ চাল সরবরাহের জন্য খাদ্য অধিদফতরের সঙ্গে ১৮ হাজার ৬২৩ জন ও আতপ চাল সংগ্রহের জন্য ৪৮৮ মিল মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
বোরো দেশের সর্ববৃহৎ ফসল। খাদ্যের মজুদ গড়ে তুলতে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারের সংগ্রহের বড় অংশটিও হয় বোরো থেকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৯০ লাখ টন। খসড়া হিসাব অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।