মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, প্রতিটি উন্মুক্ত জলাশয় মাছচাষের উপযোগী করে তুলতে হবে। মাছচাষের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনা সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী খুলনায় ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে দফাদারের ঘাটে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনে মৎস্যখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমিষের চাহিদা পূরণে প্রতিটি পুকুরেও মাছচাষ করতে হবে। দেশে গত কয়েকবছরে মাছ, দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে এসবের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। চিংড়িশিল্পের উন্নয়নে বিদ্যমান আইন ও আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। খুলনা অঞ্চলের প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে মাছচাষের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
মাছে ক্ষতিকর বিষ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুলু বিলকিস বানু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার সাহাবুদ্দিন জিপ্পী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী ডুমুরিয়ার পিএম সুন্দরবুনিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির চত্বরে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা এবং বান্দা স্কুল প্রাঙ্গণে ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনাসভায়ও যোগ দেন।