ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাদে আঙুর চাষ করতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩২৬ বার

আঙুর বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। কিন্তু এর চাষাবাদ তেমন বিস্তৃত নয়। ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার বাড়ির ছাদে এ ফলের চাষ করতে পারেন। প্রয়োজন মেটাতে পারেন ফরমালিনমুক্ত ফলের চাহিদা।

আঙুরের বংশ বিস্তারের জন্য বীজ, কাটিং, গুটিকলম ও বাডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কলম তৈরির মাধ্যমে বংশ বিস্তার করলে চারার বৈশিষ্ট ঠিক থাকে এবং দ্রুত ফল আসে।

ছাদে আঙুর চাষ করার জন্য টব বা অর্ধ ড্রাম ব্যবহার করতে হবে। টবে চারা রোপণের সময় প্রতি টবে ২০-২৫কেজি গোবর সার, সরিষার খৈল ১০০গ্রাম, ইউরিয়া ১০০গ্রাম, টিএসপি ৫০০ গ্রাম ও এমওপি ৪০০গ্রাম দিতে হবে। চারার বয়স যখন ১-৩বছর হবে, তখন ১৫কেজি গোবর, ৫০গ্রাম সরিষার খৈল, ১০০গ্রাম ইউরিয়া, ৫০০গ্রাম টিএসপি ও ৫০০গ্রাম এমওপি দিতে হবে। চারার বয়স চার বছরের অধিক হলে ২০-২৫কেজি গোবর সার, ১০০গ্রাম সরিষার খৈল, ১৫০গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০গ্রাম টিএসপি ও ৫০০গ্রাম এমওপি দিতে হবে। বছরের জানুয়ারি মাসের সময় সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের পর ফুল আসার সময় ও খরার সময় গাছে পরিমিত সেচ দিতে হবে। মাটিতে যেন অম্লের পরিমাণ বেড়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ফলের গুণাগুণ বৃদ্ধির জন্য আঙুরের গুচ্ছ থেকে অপরিণত ফল ছোট অবস্থায় ফেলে দিতে হবে। আঙুর পাকার মাসখানেক আগে ২০গ্রাম পটাশ সার এক লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে আঙুরের মিষ্টতা বাড়ে। যখন আঙুর মুগডালের মতো হবে, তখন জিবরেলিক এসিড নামের হরমোন গাছে স্প্রে করলে ফল ঝরা বদ্ধ হবে। আঙুরের আকার বড়, মিষ্টি এবং ফেটে যাওয়া রোধ করবে। প্রয়োজনবোধে বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফল পাকার পর এমনভাবে সংগ্রহ করতে হবে যেন থোকার আঙুরে আঙুলের ছোঁয়া না লাগে। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ৮ থেকে ৮ দশমিক ৫কেটি পাকা আঙুর পাওয়া যেতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাদে আঙুর চাষ করতে

আপডেট টাইম : ০৫:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৫

আঙুর বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। কিন্তু এর চাষাবাদ তেমন বিস্তৃত নয়। ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার বাড়ির ছাদে এ ফলের চাষ করতে পারেন। প্রয়োজন মেটাতে পারেন ফরমালিনমুক্ত ফলের চাহিদা।

আঙুরের বংশ বিস্তারের জন্য বীজ, কাটিং, গুটিকলম ও বাডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কলম তৈরির মাধ্যমে বংশ বিস্তার করলে চারার বৈশিষ্ট ঠিক থাকে এবং দ্রুত ফল আসে।

ছাদে আঙুর চাষ করার জন্য টব বা অর্ধ ড্রাম ব্যবহার করতে হবে। টবে চারা রোপণের সময় প্রতি টবে ২০-২৫কেজি গোবর সার, সরিষার খৈল ১০০গ্রাম, ইউরিয়া ১০০গ্রাম, টিএসপি ৫০০ গ্রাম ও এমওপি ৪০০গ্রাম দিতে হবে। চারার বয়স যখন ১-৩বছর হবে, তখন ১৫কেজি গোবর, ৫০গ্রাম সরিষার খৈল, ১০০গ্রাম ইউরিয়া, ৫০০গ্রাম টিএসপি ও ৫০০গ্রাম এমওপি দিতে হবে। চারার বয়স চার বছরের অধিক হলে ২০-২৫কেজি গোবর সার, ১০০গ্রাম সরিষার খৈল, ১৫০গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০গ্রাম টিএসপি ও ৫০০গ্রাম এমওপি দিতে হবে। বছরের জানুয়ারি মাসের সময় সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের পর ফুল আসার সময় ও খরার সময় গাছে পরিমিত সেচ দিতে হবে। মাটিতে যেন অম্লের পরিমাণ বেড়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ফলের গুণাগুণ বৃদ্ধির জন্য আঙুরের গুচ্ছ থেকে অপরিণত ফল ছোট অবস্থায় ফেলে দিতে হবে। আঙুর পাকার মাসখানেক আগে ২০গ্রাম পটাশ সার এক লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে আঙুরের মিষ্টতা বাড়ে। যখন আঙুর মুগডালের মতো হবে, তখন জিবরেলিক এসিড নামের হরমোন গাছে স্প্রে করলে ফল ঝরা বদ্ধ হবে। আঙুরের আকার বড়, মিষ্টি এবং ফেটে যাওয়া রোধ করবে। প্রয়োজনবোধে বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফল পাকার পর এমনভাবে সংগ্রহ করতে হবে যেন থোকার আঙুরে আঙুলের ছোঁয়া না লাগে। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ৮ থেকে ৮ দশমিক ৫কেটি পাকা আঙুর পাওয়া যেতে পারে।