ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

জেএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে ভুলের ছড়াছড়ি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেএসসি পরীক্ষায় প্রবেশপত্রে অসংখ্য ভুল ধরা পড়েছে। চতুর্থ বিষয় বাদ পড়া, হিন্দু ধর্মের জায়গায় বৌদ্ধ ধর্মের বিষয় প্রবেশপত্রে দেয়া হয়েছে। একাদশ শ্রেণিতে পাঠ্য পালির মতো বিষয় প্রবেশপত্রে এসেছে। এগুলো সংশোধন করতে শিক্ষাবোর্ডে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে অনেককে। শিক্ষা ভবনের কর্মরত এক অফিসার তার মেয়ের প্রবেশপত্র সংশোধন করতে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি জানান, আমার মেয়ে মাহিসা বাড়ৈ রাজধানীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেবে।

গত বুধবার স্কুল থেকে সরবরাহকৃত প্রবেশপত্রে চতুর্থ বিষয় খ্রিস্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার পরিবর্তে হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয় দেখে চমকে উঠেন। অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পর দিন স্কুলে গেলে বোর্ড থেকে সংশোধন করে আনার পরামর্শম
দেন। মাহিসার মতোই আরেক পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান হৃদয়। তার নামই পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে প্রবেশপত্রে। প্রবেশপত্রে নাম লেখা হয়েছে মাহতীর মোহাম্মদ। শুধু এই দুই পরীক্ষার্থীরই নয়; শুধু ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ২১ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে নাম, পিতা-মাতার নাম, এক বিষয়ের পরিবর্তে আরেক বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই ভুলের জন্য বোর্ডের কর্মকর্তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছেন।  গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও স্কুল পরিদর্শকের কক্ষের সামনে শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তাদের সবার হাতে ছিল প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড। উদ্দেশ্য প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন সংশোধন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মিলেছে তথ্য সংশোধনের জন্য বোর্ডের নির্ধারিত ফরম। এরপর স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নির্ধারিত ১৫৮ টাকা জমা দেয়ার জন্য ছুটতে হয়েছে সোনালী ব্যাংকে। সেখানেও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টাকা জমা দিতে হয়েছে। এরপর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে গিয়েও ফের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। অনেকে দিনভর বোর্ডে অবস্থান করেও প্রবেশপত্র সংশোধন করাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের স্কুল পরিদর্শক এটিএম মইনুল হোসেন বলেন, ৭ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২১ হাজারের প্রবেশপত্রে ভুলত্রুটি হয়েছে। এটা খুবই নগণ্য। এর জন্য স্কুলের শিক্ষকরা দায়ী। তারা অনলাইনে নিবন্ধন করার সময় ভুল করেছেন। পাড়া-মহল্লার কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে দ্রুত পূরণ করায় ভুল করেন। তবে অনলাইনে নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করায় আগের তুলনায় অনেক ভুল ত্রুটি কমেছে। তিনি আরো বলেন, আগে ভুলের জন্য ছয়টি ফরম পূরণ করতে হতো। এখন দ্রুতই ভুল সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ফাত্তা আসওয়াদ করিমের চতুর্থ বিষয়  এসেছে পালি। অথচ অষ্টম শ্রেণিতে এ বিষয়টি নেই। এ স্কুলের অর্ধশত পরীক্ষার্থী একই ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে। মানব জমিন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

জেএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে ভুলের ছড়াছড়ি

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেএসসি পরীক্ষায় প্রবেশপত্রে অসংখ্য ভুল ধরা পড়েছে। চতুর্থ বিষয় বাদ পড়া, হিন্দু ধর্মের জায়গায় বৌদ্ধ ধর্মের বিষয় প্রবেশপত্রে দেয়া হয়েছে। একাদশ শ্রেণিতে পাঠ্য পালির মতো বিষয় প্রবেশপত্রে এসেছে। এগুলো সংশোধন করতে শিক্ষাবোর্ডে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে অনেককে। শিক্ষা ভবনের কর্মরত এক অফিসার তার মেয়ের প্রবেশপত্র সংশোধন করতে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি জানান, আমার মেয়ে মাহিসা বাড়ৈ রাজধানীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেবে।

গত বুধবার স্কুল থেকে সরবরাহকৃত প্রবেশপত্রে চতুর্থ বিষয় খ্রিস্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার পরিবর্তে হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয় দেখে চমকে উঠেন। অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পর দিন স্কুলে গেলে বোর্ড থেকে সংশোধন করে আনার পরামর্শম
দেন। মাহিসার মতোই আরেক পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান হৃদয়। তার নামই পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে প্রবেশপত্রে। প্রবেশপত্রে নাম লেখা হয়েছে মাহতীর মোহাম্মদ। শুধু এই দুই পরীক্ষার্থীরই নয়; শুধু ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ২১ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে নাম, পিতা-মাতার নাম, এক বিষয়ের পরিবর্তে আরেক বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই ভুলের জন্য বোর্ডের কর্মকর্তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছেন।  গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও স্কুল পরিদর্শকের কক্ষের সামনে শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তাদের সবার হাতে ছিল প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড। উদ্দেশ্য প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন সংশোধন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মিলেছে তথ্য সংশোধনের জন্য বোর্ডের নির্ধারিত ফরম। এরপর স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নির্ধারিত ১৫৮ টাকা জমা দেয়ার জন্য ছুটতে হয়েছে সোনালী ব্যাংকে। সেখানেও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টাকা জমা দিতে হয়েছে। এরপর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে গিয়েও ফের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। অনেকে দিনভর বোর্ডে অবস্থান করেও প্রবেশপত্র সংশোধন করাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের স্কুল পরিদর্শক এটিএম মইনুল হোসেন বলেন, ৭ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২১ হাজারের প্রবেশপত্রে ভুলত্রুটি হয়েছে। এটা খুবই নগণ্য। এর জন্য স্কুলের শিক্ষকরা দায়ী। তারা অনলাইনে নিবন্ধন করার সময় ভুল করেছেন। পাড়া-মহল্লার কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে দ্রুত পূরণ করায় ভুল করেন। তবে অনলাইনে নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করায় আগের তুলনায় অনেক ভুল ত্রুটি কমেছে। তিনি আরো বলেন, আগে ভুলের জন্য ছয়টি ফরম পূরণ করতে হতো। এখন দ্রুতই ভুল সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ফাত্তা আসওয়াদ করিমের চতুর্থ বিষয়  এসেছে পালি। অথচ অষ্টম শ্রেণিতে এ বিষয়টি নেই। এ স্কুলের অর্ধশত পরীক্ষার্থী একই ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে। মানব জমিন