বল হাতে কাঁপিয়ে বেড়ানো মুস্তাফিজ এবার দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার সামনে। তবে সাক্ষাৎকার দিতে নয়, মডেল হিসেবে। শুরুতে একটু ভয় ভয় লাগলেও সময় গড়াতেই কেটে গিয়েছে সেই অজানা ভয়। এবং শেষমেষ উপভোগ করেছেন নতুন এই অভিজ্ঞতা। দিনশেষে একরাশ রোমাঞ্চ নিয়ে ঘরে ফিরেছেন কোক স্টুডিও থেকে।
নতুন অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মুস্তাফিজ বলেছেন, ‘শুরু থেকেই আমি খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। কিছুটা ভয় কাজ করছিল। তবে ধীরে ধীরে ভয় কেটে গেছে। সবাই মিলে দারুণ সময় উপভোগ করেছি।’
মডেলিংকে স্রেফ মডেলিংই ভাবেন মুস্তাফিজ। এই বেশি ভানায় সময় নেই। তার সব ভাবনাজুড়েই ক্রিকেট। বিজ্ঞাপন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের আগ্রহে শখের বসেই মডেল হওয়া। তবে ক্রিকেটের মতো মডেলিংয়ে অধিনায়ক মাশরাফিতেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নিয়েছে অফকাটার মুস্তাফিজ। তাদের সঙ্গী হয়েছেন সতীর্থ সৌম্য সরকার। একই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে তারা তিনজনই মডেল। এবং সবটাই ক্রিকেটকেন্দ্রিক।
শুক্রবার ৩ দিনের শুটিং মুস্তাফিজকে দিয়ে শুরু হয়েছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কোক স্টুডিওতে। এই তিনজনকে নিয়ে মেজবাহ-উর-রহমান সুমন এই বিজ্ঞাপন চিত্রটি পরিচালনা করছেন। এর আগে এই নির্মাতা ক্রিকেটারদের নিয়ে ‘আমরা টাইগার্স, আমরাই বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছিলেন।
শুক্রবার সারাদিন টেলিফোন কোম্পানি রবির এই বিজ্ঞাপণচিত্রে কাজ করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেছেন, ‘মাঠে অনুশীলন যেভাবে বোলিং করি আমাকে সেভাবেই বোলিং করতে বলা হয়েছে। আমি করেছি তাই। সে দৃশ্যই ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। সেখানে আমার বয়সী অনেকে ছিল। সারাদিন অনেক আনন্দ করেছি। ক্রিকেটের বাইরে আজকে (শুক্রবার) খুব ভাল সময় কাটিয়েছি।’
রবির এই বিজ্ঞাপণচিত্র সম্পর্কে মুস্তাফিজ বলেছেন, ‘আমার কোনো ডায়ালগ ছিল না। আমার কাজই ছিল শুধু বোলিং। ক্যামেরায় তা বার বার ধারণ করেছে। তারা বলেছে খেলায় যেমন করি, সেভাবেই করতে। আমি করেছি।’