ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা হাঁসের সন্তান প্রেম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০১৫
  • ৫০০ বার

বন্যপশু বিশেষজ্ঞ টিম হোয়াইট আচমকাই তার দালানের বাইরে থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখলেন। কী জন্য ধোয়া উড়ছে তা দেখতে তৎক্ষণাৎ ছুটে যান টিম ও তার মেয়ে।

দালানের বাইরের যে অংশে কিছুটা জংলা অঞ্চল সেখান থেকেই ধোঁয়া উড়ছে দেখে বাবা-মেয়ে ছুটতে লাগলেন কী হয়েছে দেখার জন্য। জংলায় ঢোকার পর তারা দেখতে পান একটি হাঁসের ডিম পাড়ার বাসায় আগুন জ্বলছে এবং তার মাঝে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আছে মা হাঁস।

বাবা-মেয়ে যতদ্রুত সম্ভব বালতিতে পানি এনে আগুন নেভান এবং অগ্নিদগ্ধ হাঁসটিকে স্থানীয় একটি পশু হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত তথ্য মতে, আগামী গ্রীষ্মের আগে হাঁসটির পাখা উড়বার উপযোগী হবে না।

হাঁসটির শরীরের কিছু অংশ মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় পাখিটির পক্ষে উড়ে বেড়ানো সম্ভব হবে না দীর্ঘদিন। কানাডার স্যানডাস্কি শহরের টিম হোয়াইট পশুবিজ্ঞানী হওয়ায় তার মনে প্রশ্ন জাগে, পাখিটি উড়তে পারা সত্ত্বেও কেন আগুন লাগার পরও  উড়ে যায়নি।

আগুন লেগে যাওয়া স্থানটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, পাখির যে বাসাটিতে আগুন লেগেছিল সেখানে ছয়টি হাঁসের ডিম ছিল, যেগুলোতে তা দিচ্ছিল ওই আহত মা হাঁস।

অনাগত সন্তানদের কথা ভেবে আগুন লাগা সত্ত্বেও মা হাঁসটি তাই তার বাসা থেকে চলে যাননি। কোনো মানুষের ফেলে দেয়া সিগারেটের আগুন থেকে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে বলে অগ্নি নির্বাপক সংস্থা থেকে জানানো হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মা হাঁসের সন্তান প্রেম

আপডেট টাইম : ০৪:১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০১৫

বন্যপশু বিশেষজ্ঞ টিম হোয়াইট আচমকাই তার দালানের বাইরে থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখলেন। কী জন্য ধোয়া উড়ছে তা দেখতে তৎক্ষণাৎ ছুটে যান টিম ও তার মেয়ে।

দালানের বাইরের যে অংশে কিছুটা জংলা অঞ্চল সেখান থেকেই ধোঁয়া উড়ছে দেখে বাবা-মেয়ে ছুটতে লাগলেন কী হয়েছে দেখার জন্য। জংলায় ঢোকার পর তারা দেখতে পান একটি হাঁসের ডিম পাড়ার বাসায় আগুন জ্বলছে এবং তার মাঝে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আছে মা হাঁস।

বাবা-মেয়ে যতদ্রুত সম্ভব বালতিতে পানি এনে আগুন নেভান এবং অগ্নিদগ্ধ হাঁসটিকে স্থানীয় একটি পশু হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত তথ্য মতে, আগামী গ্রীষ্মের আগে হাঁসটির পাখা উড়বার উপযোগী হবে না।

হাঁসটির শরীরের কিছু অংশ মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় পাখিটির পক্ষে উড়ে বেড়ানো সম্ভব হবে না দীর্ঘদিন। কানাডার স্যানডাস্কি শহরের টিম হোয়াইট পশুবিজ্ঞানী হওয়ায় তার মনে প্রশ্ন জাগে, পাখিটি উড়তে পারা সত্ত্বেও কেন আগুন লাগার পরও  উড়ে যায়নি।

আগুন লেগে যাওয়া স্থানটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, পাখির যে বাসাটিতে আগুন লেগেছিল সেখানে ছয়টি হাঁসের ডিম ছিল, যেগুলোতে তা দিচ্ছিল ওই আহত মা হাঁস।

অনাগত সন্তানদের কথা ভেবে আগুন লাগা সত্ত্বেও মা হাঁসটি তাই তার বাসা থেকে চলে যাননি। কোনো মানুষের ফেলে দেয়া সিগারেটের আগুন থেকে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে বলে অগ্নি নির্বাপক সংস্থা থেকে জানানো হয়।