ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভ্রমণকারীদের আরও বেশি তথ্য চায় যুক্তরাষ্ট্র

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭
  • ২৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ওয়াশিংটন, ১৪ জুলাই- যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভিসা আবেদনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভ্রমণকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এতে করে ভ্রমণকারী সম্পর্কে সন্ত্রাসী হুমকির ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া যাবে বলে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে।

যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এ নতুন এ সিদ্ধান্ত মেনে চলবে না বা এ বিষয়ে ৫০ দিনের মধ্যে উদ্যোগী হবে না, তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে হতে পারে।

বুধবার বিশ্বের সব মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে পাঠানো এ সিদ্ধান্ত মূলত গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশেরই অংশ। ওই আদেশে প্রধান ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রার্থীদের ‘অন্য যেকোনো পরিচিতিমূলক তথ্য’ দিতে দেশগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে ওয়াশিংটন। সেইসঙ্গে প্রার্থীর বায়েমেট্রিক ও বায়োগ্রাফিক তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ভ্রমণকারীদের সম্পর্কে তথ্য স্থানান্তর না করার বিষয়ে বলা হয় এবং কারো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ভ্রমণতালিকার জন্য মনোনীত না করতে বলা হয়।

এই প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের কাছ থেকে ইমিগ্রেশন এবং ভ্রমণকারীদের পরীক্ষার সমর্থনে বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য মান নির্ধারণ করে দিলো।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষায় এটি আরও ভালো পদক্ষেপ।

এরআগে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রুটিনমাফিক তথ্য আদান-প্রদান, যেমন নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির পাসপোর্ট বা বিশদ কোনো তথ্য চাওয়া হতো।

যুক্তরাষ্ট্রের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে দ্রুত কাজ করতে বলা হয়েছে। যদি নির্ধারক মেনে চলা হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ওই দেশকে মূল্যায়ন করবে, অন্যথায় তাদের সহায়তায় নতুন কোনো পরিকল্পনা নিয়ে আসবে।

তবে যদি কোনো দেশ এ অনুরোধ মানতে সম্মত না হয় তবে তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরাগভাজন হবে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।

তবে এ পরিকল্পনার ফলাফল না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে দেশগুলোর ভয়ের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সিটিজেন ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসের সাবেক প্রধান লিউন রদ্রিগেজ।

এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এটি অভ্যন্তরীণ কোনো যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা করবে না বলেও জানানো হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মূল্যায়ন ও পর্যটকদের পরীক্ষার পদ্ধতিগুলি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা এবং যারা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে তাদের চিহ্নিত করতে আরও কার্যকর নিরাপত্তা উন্নত করতেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা।

এরআগে ক্ষমতায় বসার কিছুদিন পরই কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ দেন ট্রাম্প। পরে আদালতের আদেশে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপরও কয়েক দফায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করে ট্রাম্প প্রশাসন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভ্রমণকারীদের আরও বেশি তথ্য চায় যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম : ০৬:০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ওয়াশিংটন, ১৪ জুলাই- যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভিসা আবেদনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভ্রমণকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এতে করে ভ্রমণকারী সম্পর্কে সন্ত্রাসী হুমকির ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া যাবে বলে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে।

যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এ নতুন এ সিদ্ধান্ত মেনে চলবে না বা এ বিষয়ে ৫০ দিনের মধ্যে উদ্যোগী হবে না, তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে হতে পারে।

বুধবার বিশ্বের সব মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে পাঠানো এ সিদ্ধান্ত মূলত গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশেরই অংশ। ওই আদেশে প্রধান ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রার্থীদের ‘অন্য যেকোনো পরিচিতিমূলক তথ্য’ দিতে দেশগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে ওয়াশিংটন। সেইসঙ্গে প্রার্থীর বায়েমেট্রিক ও বায়োগ্রাফিক তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ভ্রমণকারীদের সম্পর্কে তথ্য স্থানান্তর না করার বিষয়ে বলা হয় এবং কারো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ভ্রমণতালিকার জন্য মনোনীত না করতে বলা হয়।

এই প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের কাছ থেকে ইমিগ্রেশন এবং ভ্রমণকারীদের পরীক্ষার সমর্থনে বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য মান নির্ধারণ করে দিলো।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষায় এটি আরও ভালো পদক্ষেপ।

এরআগে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রুটিনমাফিক তথ্য আদান-প্রদান, যেমন নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির পাসপোর্ট বা বিশদ কোনো তথ্য চাওয়া হতো।

যুক্তরাষ্ট্রের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে দ্রুত কাজ করতে বলা হয়েছে। যদি নির্ধারক মেনে চলা হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ওই দেশকে মূল্যায়ন করবে, অন্যথায় তাদের সহায়তায় নতুন কোনো পরিকল্পনা নিয়ে আসবে।

তবে যদি কোনো দেশ এ অনুরোধ মানতে সম্মত না হয় তবে তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরাগভাজন হবে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।

তবে এ পরিকল্পনার ফলাফল না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে দেশগুলোর ভয়ের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সিটিজেন ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসের সাবেক প্রধান লিউন রদ্রিগেজ।

এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এটি অভ্যন্তরীণ কোনো যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা করবে না বলেও জানানো হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মূল্যায়ন ও পর্যটকদের পরীক্ষার পদ্ধতিগুলি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা এবং যারা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে তাদের চিহ্নিত করতে আরও কার্যকর নিরাপত্তা উন্নত করতেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা।

এরআগে ক্ষমতায় বসার কিছুদিন পরই কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ দেন ট্রাম্প। পরে আদালতের আদেশে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপরও কয়েক দফায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করে ট্রাম্প প্রশাসন।