তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খোলা চোখে তাকালেই দেখবেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, গণমাধ্যম প্রসারিত হচ্ছে, গণতন্ত্র মজবুত হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার চোখ দিয়ে শুধু খালি অংশ নয়, গ্লাসের ভরাটুকুও দেখুন।
বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউনের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণমাধ্যমসহ সবার প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়ার দেশ ধ্বংসের মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী ইনু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশ নয়, খালেদা জিয়ার সাম্প্রদায়িকতার অন্ধকার জগত ছোট হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তার (বেগম জিয়ার) আক্ষেপ একারণেই, দেশের জন্য নয়।’
ইনু বলেন, এখন নষ্ট সময় নয়। নষ্ট সময় ছিল তখন, যখন রাজাকারেরা মন্ত্রী হয়েছিল, শহীদ মিনার ভাঙা হয়েছিল, পীরের মাজারে বোমা নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এখন সুসময়। এখন যুদ্ধাপরাধীরা ফাঁসির কাঠগড়ায় যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
ঢাকার মেয়র আনিসুল হক, বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক ড. কাজী আনিস আহমেদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বগণ, বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক-কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর চিত্রশালা মিলনায়তনে সার্ক ফিল্ম জার্নালিস্ট ফোরাম-বাংলাদেশ আয়োজিত সার্ক ফিল্ম ফেন্টিভ্যাল ২০১৫ উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রী সার্কের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোকে আটটি ফুলের মতো উল্লেখ করে বলেন, চলচ্চিত্রের হাত ধরে যেমন এক দেশের মানুষের চিন্তা, অনুভব ও স্বপ্ন আরেক দেশে পৌঁছে, তেমনি চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের পরিবেশিত তথ্য আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সকলকে সমৃদ্ধ করে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, শিল্পী ফেরদৌস আরা, সার্ক ফিল্ম জার্নালিস্ট ফোরাম-বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট রেদোয়ান খন্দকার প্রমূখ এসময় আলোচনায় অংশ নেন।
হাসানুল হক ইনু চলচ্চিত্রকে দারিদ্র্য ও কুসংস্কারের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি গণমাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করেন। একাত্তরের মহাযুদ্ধ নিয়ে বিশাল আঙ্গিকে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য নির্মতাদের উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকাকে বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলাভাষীদের চলচ্চিত্রের রাজধানী করে তোলার লক্ষ্যে নির্মাতা-শিল্পী-কুশলীদের কাজ করতে হবে। তবে আগুনসন্ত্রাসের লেলিহান শিখা যেন চলচ্চিত্রকে স্পর্শ না করতে পারে সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।