মানি লন্ডারিংয়ের দুই মামলায় মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির এমডি মো. রফিকুল আমীনসহ ৫১ আসামির বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রায় চার চার হাজার ১১৯ কোটি টাকা পাচারের দুইটি মামলায় ২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল হওয়া এই মামলায় বুধবার আদালতে আংশিক চার্জগঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে এদিন মামলাটির প্রধান আসামি ডেসটিনির এমডি মো. রফিকুল আমীনের পক্ষে আংশিক চার্জ শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হক কিউসি।
আংশিক চার্জ শুনানির পর আসামিপক্ষ সময় আবেদন করায় বিচারক আগামী ৮ জুলাই অবশিষ্ট চার্জ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
চার্জশিটের ৫১ আসামির মধ্যে ৪৬ আসামি পলাতক। মামলার আসামিদের মধ্যে এমডি মো. রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম ও মো. জিয়াউল হক মোল্লা কারাগারে আছেন এবং পলাতকদের মধ্যে সাঈদুল ইসলাম খান (রুবেল) সম্প্রতি বরিশাল গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর একমাত্র আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ জামিনে আছেন।
মামলাটির পলাতক আসামিরা হলেন, ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন) ও মো. শফিকুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মামলা উক্ত আসামিরাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি দায়ের করেন।