নিজস্ব প্রতিবেদক
জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা থেকে পরিবেশ ও পৃথিবীকে রক্ষা করতে বিশ্ব নেতারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। এখন সময় এসেছে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও প্রতিশ্রুতির রক্ষার।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়া জুডিশিয়াল কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আব্দুল হামিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা কেবল দক্ষিণ এশিয়ার নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক ব্যাপার। কোনো একক দেশ কিংবা একটি অঞ্চল এককভাবে এই তীব্র সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ ও পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে বিশ্ব নেতাদের কিয়োটো প্রটোকল অ্যান্ড প্যারিস এগ্রিমেন্টের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন ও অঙ্গীকারগুলো কাজে পরিণত করার সময় এসেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন. প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করা প্রথম দিকের দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিজস্ব সম্পদ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাংলাদেশই প্রথম করতে পেরেছে।
সংবিধানের সৃজনশীল উদ্ভাবনী ব্যাখ্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পরিবেশ সংরক্ষণ ও রক্ষা বিষয়ক মামলাগুলোর অর্থপূর্ণ বিচারে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্টকারী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা খুবই সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বতন্ত্র পরিবেশ আদালত ও সাংবাধানিক প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিচার বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়া, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও এডিবি’র জেনারেল কনসাল ক্রিস্টোফার স্টিফেনস।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল ও মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।