ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মদনে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে সার্ভেয়ার ও প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • ২১ বার

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠে আম্বিয়া আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সার্ভেয়ার জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে সার্ভেয়ারকে লাঞ্চিত ও প্রধান শিক্ষককে মারধর করে আম্বিয়া আক্তারসহ আরও কয়েকজন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সার্ভেয়ার পৃথক পৃথক ভাবে অভিয়োগ দায়ের করেন মদন থানায়। শুক্রবার উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নে শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শ্রীধরপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার। শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ জমি রাতের আধাঁরে ২৫ মে ঘর তৈরি করে দখলে নিয়ে যায়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এমনকি বিদ্যালয়ের জমি সার্ভেয়ার ধারা পরিমাপ করার জন্যও আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিন বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপ করতে যান।

এ সময় আম্বিয়া আক্তার, ফুলেছা আক্তার, বারেক, বাবু মিয়া, সোনা মিয়া, সুখিনা খাতুন, জুবায়ের, জোসনা আক্তার জমির পরিমাপ না করার জন্য সার্ভেয়ারকে বাঁধা প্রদান করে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের সাথে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে তারা প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে এবং সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিনকে লাঞ্চিত করে। পরে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ও সার্ভেয়ার ইউএনওর পরার্মশ ক্রমে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, এখানে একটি গর্ত ছিল। সরকারি বরাদ্দ দিয়ে গর্ত ভরাট করেছি। এর পরেই সে জমিটি দখলে নিয়ে নেয়। সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করতে আসলে আমাকে মারধর করে এবং সার্ভেয়ারকে লাঞ্চিত করে। আমি মদন হাসপাতালে এখন ভর্তি আছি। শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শ ক্রমে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষক হাফিজুর বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপ করার জন্য একটি আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে জমি পরিমাপ করতে আসলে আম্বিয়াসহ কয়েকজন আমাকে বাধা প্রদান করে। এমনকি আমাকে লাঞ্চিত করেছে। প্রধান শিক্ষকেও মারধর করে। এ নিয়ে ইউএনও স্যারের পরার্মশ ক্রমে আম্বিয়াসহ কয়েক জনে বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।

মদন থানার ওসি তদন্ত দেবাংশু জানান, সার্ভেয়ারকে লাঞ্চিত ও প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ নিয়ে ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, সার্ভেয়ার আমাকে জানিয়েছেন জমির পরিমাপ করে খুঁটি পোঁততে গেলে তাকে লাঞ্চিত করে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে। এ নিয়ে থানায় বলেছি মামলা নেয়ার জন্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে সার্ভেয়ার ও প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত

আপডেট টাইম : ১১:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠে আম্বিয়া আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সার্ভেয়ার জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে সার্ভেয়ারকে লাঞ্চিত ও প্রধান শিক্ষককে মারধর করে আম্বিয়া আক্তারসহ আরও কয়েকজন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সার্ভেয়ার পৃথক পৃথক ভাবে অভিয়োগ দায়ের করেন মদন থানায়। শুক্রবার উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নে শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শ্রীধরপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার। শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ জমি রাতের আধাঁরে ২৫ মে ঘর তৈরি করে দখলে নিয়ে যায়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এমনকি বিদ্যালয়ের জমি সার্ভেয়ার ধারা পরিমাপ করার জন্যও আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিন বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপ করতে যান।

এ সময় আম্বিয়া আক্তার, ফুলেছা আক্তার, বারেক, বাবু মিয়া, সোনা মিয়া, সুখিনা খাতুন, জুবায়ের, জোসনা আক্তার জমির পরিমাপ না করার জন্য সার্ভেয়ারকে বাঁধা প্রদান করে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের সাথে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে তারা প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে এবং সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিনকে লাঞ্চিত করে। পরে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ও সার্ভেয়ার ইউএনওর পরার্মশ ক্রমে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, এখানে একটি গর্ত ছিল। সরকারি বরাদ্দ দিয়ে গর্ত ভরাট করেছি। এর পরেই সে জমিটি দখলে নিয়ে নেয়। সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করতে আসলে আমাকে মারধর করে এবং সার্ভেয়ারকে লাঞ্চিত করে। আমি মদন হাসপাতালে এখন ভর্তি আছি। শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শ ক্রমে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষক হাফিজুর বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপ করার জন্য একটি আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে জমি পরিমাপ করতে আসলে আম্বিয়াসহ কয়েকজন আমাকে বাধা প্রদান করে। এমনকি আমাকে লাঞ্চিত করেছে। প্রধান শিক্ষকেও মারধর করে। এ নিয়ে ইউএনও স্যারের পরার্মশ ক্রমে আম্বিয়াসহ কয়েক জনে বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।

মদন থানার ওসি তদন্ত দেবাংশু জানান, সার্ভেয়ারকে লাঞ্চিত ও প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ নিয়ে ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, সার্ভেয়ার আমাকে জানিয়েছেন জমির পরিমাপ করে খুঁটি পোঁততে গেলে তাকে লাঞ্চিত করে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে। এ নিয়ে থানায় বলেছি মামলা নেয়ার জন্য।