ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
স্মৃতির পাতায় মোশাররফ হোসেন রুবেল আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু নিয়ে দূষণের শীর্ষে ঢাকা ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তিচুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দিল্লিতে ভবন ধসে ৪ জনের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে আটকা কয়েকজন বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস পরীমনিকাণ্ডে বেনজীরের যোগ ছিল কিনা, যা বললেন নাসির কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের : ধর্ম উপদেষ্টা টাইম ম্যাগাজিনে হিলারি ক্লিনটনের কলামে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রশংসা

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার, নিখোঁজ ১১০০০

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫১ হাজারে। এ ছাড়া, এখনো নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে, গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহতের সংখ্যা আসছে প্রায় ৬২ হাজার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ফলে, অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯৩৮। এ ছাড়া, আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪।

লন্ডনভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ৫১ হাজার মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও এখনো নিখোঁজ ১১ হাজার জনের বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধার করার ন্যূনতম কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে, তাদেরও নিহতের তালিকাতেই ফেলা হচ্ছে। আর এতে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬২ হাজার জনে।

এদিকে, হামাস জানিয়েছে, গাজায় স্থায়ী তথা ‘সিরিয়াস বা গুরুতর’ যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা পেলে শিগগির ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে তারা। এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন হামাস কায়রোতে মিসর ও কাতারীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছে। এ দুটি দেশ অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে।

গতকাল সোমবার হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেছেন, হামাস ‘গুরুতর জিম্মি বিনিময়’ ও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সব ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তাহের বলেন, ‘আমরা একটি গুরুতর বন্দিবিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের সমাপ্তি, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যে প্রবেশের বিনিময়ে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’ তিনি অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

হামাসের এই নেতা বলেন, ‘বিষয়টি বন্দীর সংখ্যা নয়, বরং দখলদার (দেশ) তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস দখলদারকে (ইসরায়েল) চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।’

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট সোমবার জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গোষ্ঠীটি ১০ জন জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র গ্যারান্টি দেবে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় প্রবেশ করবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

স্মৃতির পাতায় মোশাররফ হোসেন রুবেল

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার, নিখোঁজ ১১০০০

আপডেট টাইম : ১১:০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫১ হাজারে। এ ছাড়া, এখনো নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে, গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহতের সংখ্যা আসছে প্রায় ৬২ হাজার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ফলে, অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯৩৮। এ ছাড়া, আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪।

লন্ডনভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ৫১ হাজার মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও এখনো নিখোঁজ ১১ হাজার জনের বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধার করার ন্যূনতম কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে, তাদেরও নিহতের তালিকাতেই ফেলা হচ্ছে। আর এতে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬২ হাজার জনে।

এদিকে, হামাস জানিয়েছে, গাজায় স্থায়ী তথা ‘সিরিয়াস বা গুরুতর’ যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা পেলে শিগগির ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে তারা। এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন হামাস কায়রোতে মিসর ও কাতারীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছে। এ দুটি দেশ অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে।

গতকাল সোমবার হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেছেন, হামাস ‘গুরুতর জিম্মি বিনিময়’ ও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সব ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তাহের বলেন, ‘আমরা একটি গুরুতর বন্দিবিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের সমাপ্তি, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যে প্রবেশের বিনিময়ে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’ তিনি অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

হামাসের এই নেতা বলেন, ‘বিষয়টি বন্দীর সংখ্যা নয়, বরং দখলদার (দেশ) তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস দখলদারকে (ইসরায়েল) চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।’

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট সোমবার জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গোষ্ঠীটি ১০ জন জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র গ্যারান্টি দেবে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় প্রবেশ করবে।