বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ও নীতি সুদহার অপরিবর্তিতত রেখে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারিখাতে ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন আগের মতোই ৯ দশমিক ৮ শতাংশ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নীতি সুদহার ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফলে আগামী ছয় মাসে সুদের হার নতুন করে আর বাড়বে না। অর্থাৎ আগের ধারাবাহিকতায় সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আজ সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এর আগে, আজ সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন মুদ্রানীতি অনুমোদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুদ্রানীতির ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশ নামিয়ে আনা হবে।
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরড. আহসান এইচ মনসুরসহ অন্য কর্মকর্তারা। ছবি: আমাদের সময়
দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রানীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা, যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও মুদ্রানীতির অন্যতম কাজ।
নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে যা হয়েছে ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুন চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।