কুমিল্লায় বন্যাকবলিত অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ধীরগতিতে পানি কমায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না খুব একটা। বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি কিছুটা নামলেও এখনও বাড়িঘর তলিয়ে রয়েছে।
ফলে দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় এখনও ত্রাণ না পৌঁছানোয় সংকটে আছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবাও পাচ্ছেন না অনেকে। বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ।
বন্যায় কুমিল্লা জেলায় শুধু কৃষি খাতে ৮৪৮ কোটি টাকার। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলার ৬৩ হাজার ৭৯৪ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুমিল্লার ১৪টি উপজেলার ১২৫টি ইউনিয়নের গ্রামে কোথাও কোমর পানি, কোথাও হাঁটু পানি। জেলা প্রশাসন বলছে, জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ২৬ হাজার। এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।
গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান।