ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনও রেকর্ড বিপৎসীমার ওপরে গোমতীর পানি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৫ বার

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের ৮টি জেলা। এর মধ্যে রেকর্ড বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। ইতিহাস সৃষ্টি করে ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল নদীর পানি। বৃহস্পতিবার বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকে গেলে শুক্রবার দিনব্যাপী কমতে থাকে নদীর পানির উচ্চতা। তবে এখন পর্যন্ত পানি পুরোনো রেকর্ডের ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এখনও ঝুঁকি রয়ে গেছে অনেক।

সবশেষ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারোটায়ও কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান জানিয়েছেন, দিনব্যাপী পানির উচ্চতা কমলেও এই হার অনেক কম; ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটারের মতো। এখনও বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটারেরও বেশ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতী নদীর পানি। এর আগে ১৯৯৭ সালে বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল গোমতীর পানি। এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে নদীটির পানির উচ্চতা।

এদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক নতুন এলাকা। ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে বুড়িচং উপজেলায়। এ উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বাকশীমূল, রাজাপুর এবং বুড়িচং সদরসহ ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ইতোমধ্যে। লোকালয়ে পানির প্রবাহ বেশি হওয়ায় প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।

আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছেন ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাও। পানির এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পর্যন্ত প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এখনও রেকর্ড বিপৎসীমার ওপরে গোমতীর পানি

আপডেট টাইম : ১২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের ৮টি জেলা। এর মধ্যে রেকর্ড বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। ইতিহাস সৃষ্টি করে ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল নদীর পানি। বৃহস্পতিবার বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকে গেলে শুক্রবার দিনব্যাপী কমতে থাকে নদীর পানির উচ্চতা। তবে এখন পর্যন্ত পানি পুরোনো রেকর্ডের ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এখনও ঝুঁকি রয়ে গেছে অনেক।

সবশেষ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারোটায়ও কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান জানিয়েছেন, দিনব্যাপী পানির উচ্চতা কমলেও এই হার অনেক কম; ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটারের মতো। এখনও বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটারেরও বেশ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতী নদীর পানি। এর আগে ১৯৯৭ সালে বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল গোমতীর পানি। এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে নদীটির পানির উচ্চতা।

এদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক নতুন এলাকা। ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে বুড়িচং উপজেলায়। এ উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বাকশীমূল, রাজাপুর এবং বুড়িচং সদরসহ ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ইতোমধ্যে। লোকালয়ে পানির প্রবাহ বেশি হওয়ায় প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।

আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছেন ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাও। পানির এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পর্যন্ত প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।