ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা ক্ষমতায়, তারা জণগণের স্বার্থ দেখছে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০১৬
  • ৩৩৮ বার

অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছে, যারা উচ্চস্তরে আছে, যাদের হাতে অনেকগুলো হাতিয়ার আছে তারা নিজেদের জন্য অনেক কিছু করে নিচ্ছে। তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে নিচ্ছে। জণগণের স্বার্থ দেখা হচ্ছে না।’

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইউনিয়ন পরিষদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও রাজস্ব আহরণ এবং উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরিত দপ্তরসমূহের জবাবদিহিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ্ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরিত দপ্তরসমূহে কাজের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা মানা হচ্ছে না। সেটা আমাদের তৈরি করতে হবে। তৈরি করতে গেলে নিজেদের অঙ্গীকারে প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সেটা না করতে পালে এটি প্রতীয়মান হবে যে, আমরা নিজেদের কাজটা নিজেরা করতে পারছি না।

তিনি বলেন, হস্তান্তরিত দপ্তর সমূহে সেন্টাল গভর্নমেন্ট থেকে ইনফ্লুয়েন্স করেত করতে অনেক সময় ইন্টারফেয়ার করে। তখন সেখানে যার কাজে আছেন তাদের কাজের উৎসাহ চলে যায়। কারণ দায়বদ্ধতা তখন আসে তখন সেই কাজের মর্যাদা দেওয়া হয়। কারণ আমি কতক্ষণ অন্যের কাজ করবো। তাই তাদের কাজের উৎসাহ থাকে না।

অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, এমন ভাবে শাসন ব্যবস্থা তৈরি করার কথা যেখানে একেবারে তৃণমূল থেকে শাসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ হবে। নিচ থেকে সমস্ত কার্যবিধি নিয়ন্ত্রিত হবে, প্রণীত হবে, কার্যবিধি সঞ্চারিত হবে এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে রূপ পাবে। এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। মহান মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি এবং সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছিল তা রক্ষার তাগিদ দেন সুলতানা কামাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যারা ক্ষমতায়, তারা জণগণের স্বার্থ দেখছে না

আপডেট টাইম : ১২:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০১৬

অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছে, যারা উচ্চস্তরে আছে, যাদের হাতে অনেকগুলো হাতিয়ার আছে তারা নিজেদের জন্য অনেক কিছু করে নিচ্ছে। তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে নিচ্ছে। জণগণের স্বার্থ দেখা হচ্ছে না।’

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইউনিয়ন পরিষদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও রাজস্ব আহরণ এবং উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরিত দপ্তরসমূহের জবাবদিহিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ্ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরিত দপ্তরসমূহে কাজের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা মানা হচ্ছে না। সেটা আমাদের তৈরি করতে হবে। তৈরি করতে গেলে নিজেদের অঙ্গীকারে প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সেটা না করতে পালে এটি প্রতীয়মান হবে যে, আমরা নিজেদের কাজটা নিজেরা করতে পারছি না।

তিনি বলেন, হস্তান্তরিত দপ্তর সমূহে সেন্টাল গভর্নমেন্ট থেকে ইনফ্লুয়েন্স করেত করতে অনেক সময় ইন্টারফেয়ার করে। তখন সেখানে যার কাজে আছেন তাদের কাজের উৎসাহ চলে যায়। কারণ দায়বদ্ধতা তখন আসে তখন সেই কাজের মর্যাদা দেওয়া হয়। কারণ আমি কতক্ষণ অন্যের কাজ করবো। তাই তাদের কাজের উৎসাহ থাকে না।

অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, এমন ভাবে শাসন ব্যবস্থা তৈরি করার কথা যেখানে একেবারে তৃণমূল থেকে শাসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ হবে। নিচ থেকে সমস্ত কার্যবিধি নিয়ন্ত্রিত হবে, প্রণীত হবে, কার্যবিধি সঞ্চারিত হবে এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে রূপ পাবে। এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। মহান মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি এবং সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছিল তা রক্ষার তাগিদ দেন সুলতানা কামাল।