ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবি’র সঙ্গে বিসিবির ‘দ্বিতীয় ইনিংস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৫৯ বার
প্রথম ইনিংস মেয়াদ পুরো করার আগেই ‘টাইমড আউট’ হয়ে গিয়েছিল। ১০ মাস আগেই চুক্তি থেকে দুই পক্ষের বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছিল বলে আজ দাবি করা হলেও মূল কারণ ছিলেন জাতীয় দলের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। যাঁরা রবি বাংলাদেশ দলের টাইটেল স্পন্সর থাকাকালীন অন্য মোবাইল অপারেটরের হয়ে বিজ্ঞাপন করে বেড়াচ্ছিলেন। তা নিয়ে নাখোশ দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল অপারেটর রবি মেয়াদ পূর্তির আগেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় ২০১৮ সালে।

পাঁচ বছর পর আবার তাঁদের সঙ্গেই ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ শুরুর সময় অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চুক্তিতে টাইটেল স্পন্সরের স্বার্থ এবার সুরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খোলা আকাশের নিচে রবি-বিসিবি চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সারার পর দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসনের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা কেউ টাইটেল স্পন্সরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হতে পারবেন না।’ তবে আপাতত একটি ব্যতিক্রম যেটি আছে, সেই চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার, ‘ইতিমধ্যে অন্য মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যে চুক্তিগুলো আছে, সেগুলোর মেয়াদ তারা পুরো করতে পারবেন।’ এখানে ‘সেগুলো’ বললেও সে রকম চুক্তি আসলে একটিই।

যেটি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের। অবশ্য রবি দ্বিতীয়বারের মতো ফিরলেও এই চুক্তির অর্থমূল্য আগেরটির চেয়ে অনেক কম। শেষ না হওয়া আগের চুক্তিটি ছিল ৬১ কোটি টাকার। অথচ এবার কিনা সাড়ে তিন বছরের জন্য বিসিবি পাচ্ছে ৫০ কোটি টাকা।
বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যেখানে চুক্তির অঙ্ক বাড়ে, সেখানে বাংলাদেশ দলের বাজারদর কমে যাওয়ার ব্যাখ্যায় বিসিবি প্রধান নির্বাহী বললেন, দেশের চলতি অর্থনৈতিক বাস্তবতার কথা, ‘বিশ্বের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে তুলনা করলে তো হবে না। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতাও আপনাকে চিন্তা করতে হবে। সেই হিসাবে এবারের অঙ্কও কম লোভনীয় নয়।’

এই অনুষ্ঠানে রবির প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি অবশ্য আগের চুক্তির সময়ে বাংলাদেশ দলের স্মরণীয় সাফল্যগুলোর কথাই বেশি টানলেন, ”পরপর বেশ কিছু সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে হারিয়েছিল।

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের রানারআপ বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিরও। তা ছাড়া রবি পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা এবাদত হোসেন এখন জাতীয় দলেও খেলছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রবির ‘পারবে তুমিও’ চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে টাইগাররা আগামীতেও বিশ্বমঞ্চে আরো বড় বড় সাফল্য বাংলাদেশের জন্য নিয়ে আসবে।”
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রবি’র সঙ্গে বিসিবির ‘দ্বিতীয় ইনিংস

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম ইনিংস মেয়াদ পুরো করার আগেই ‘টাইমড আউট’ হয়ে গিয়েছিল। ১০ মাস আগেই চুক্তি থেকে দুই পক্ষের বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছিল বলে আজ দাবি করা হলেও মূল কারণ ছিলেন জাতীয় দলের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। যাঁরা রবি বাংলাদেশ দলের টাইটেল স্পন্সর থাকাকালীন অন্য মোবাইল অপারেটরের হয়ে বিজ্ঞাপন করে বেড়াচ্ছিলেন। তা নিয়ে নাখোশ দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল অপারেটর রবি মেয়াদ পূর্তির আগেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় ২০১৮ সালে।

পাঁচ বছর পর আবার তাঁদের সঙ্গেই ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ শুরুর সময় অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চুক্তিতে টাইটেল স্পন্সরের স্বার্থ এবার সুরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খোলা আকাশের নিচে রবি-বিসিবি চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সারার পর দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসনের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা কেউ টাইটেল স্পন্সরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হতে পারবেন না।’ তবে আপাতত একটি ব্যতিক্রম যেটি আছে, সেই চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার, ‘ইতিমধ্যে অন্য মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যে চুক্তিগুলো আছে, সেগুলোর মেয়াদ তারা পুরো করতে পারবেন।’ এখানে ‘সেগুলো’ বললেও সে রকম চুক্তি আসলে একটিই।

যেটি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের। অবশ্য রবি দ্বিতীয়বারের মতো ফিরলেও এই চুক্তির অর্থমূল্য আগেরটির চেয়ে অনেক কম। শেষ না হওয়া আগের চুক্তিটি ছিল ৬১ কোটি টাকার। অথচ এবার কিনা সাড়ে তিন বছরের জন্য বিসিবি পাচ্ছে ৫০ কোটি টাকা।
বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যেখানে চুক্তির অঙ্ক বাড়ে, সেখানে বাংলাদেশ দলের বাজারদর কমে যাওয়ার ব্যাখ্যায় বিসিবি প্রধান নির্বাহী বললেন, দেশের চলতি অর্থনৈতিক বাস্তবতার কথা, ‘বিশ্বের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে তুলনা করলে তো হবে না। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতাও আপনাকে চিন্তা করতে হবে। সেই হিসাবে এবারের অঙ্কও কম লোভনীয় নয়।’

এই অনুষ্ঠানে রবির প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি অবশ্য আগের চুক্তির সময়ে বাংলাদেশ দলের স্মরণীয় সাফল্যগুলোর কথাই বেশি টানলেন, ”পরপর বেশ কিছু সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে হারিয়েছিল।

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের রানারআপ বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিরও। তা ছাড়া রবি পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা এবাদত হোসেন এখন জাতীয় দলেও খেলছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রবির ‘পারবে তুমিও’ চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে টাইগাররা আগামীতেও বিশ্বমঞ্চে আরো বড় বড় সাফল্য বাংলাদেশের জন্য নিয়ে আসবে।”