ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন পেনাল্টিতে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন কাতার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩৪ বার

শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে এশিয়ান কাপে অংশ নিয়েছিল কাতার। ফাইনালে জর্ডানের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। শিরোপা জয়ে লড়াই কাতারকে ৩-১ গোলের ব্যবধারে পরাস্থ করে টানা দুইবার এশিয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে মধ্য পাচ্যের দেশটি। তবে তিন গোলের প্রতিটিই পেনাল্টি থেকে এসেছে।শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কাতার ও জর্ডান। এই ম্যাচে তিন পেনাল্টিকে গোলে রূপ দেন আকরাম আফিফ। সেই সঙ্গে জর্ডানের রূপকথা থামিয়ে এশিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও ধরে রেখেছে তার দল।

এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে আফিফকে বক্সে পেছন থেকে আব্দল্লাহ নাসিব ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উদযাপন শুরু হয় লুসাইলের আঙিনায়।

৩২তম মিনিটে আফিফের কর্নারে লুকাস মেন্দেসের হেড গ্লাভসের ছোঁয়ায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইয়াজিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় জর্ডানের। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারির প্লেসিং শট মোহাম্মদ ওয়াদের গায়ে লেগে ব্লকড হয়। এতে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কাতার।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণাতে থাকে জর্ডান। কাতারের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। বারশামের কিছুই করার ছিল না।

তবে সমতায় থাকতে পারে বেশিক্ষণ কারণ, ছয় মিনিট পরইবক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফের লক্ষ্যভেদ করেন আফিফ।

ম্যাচের ১৩ মিনিটের যোগ করা সময়ের শুরুতেই আফিফ আক্রমণে ওঠেন। বলে প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান এই ফরোয়ার্ড। এক পর্যায়ে তার সাথে সংঘর্ষ হয় ছুটে আসা গোলরক্ষকের সাথে। অফসাইডের পতাকাও ওঠে।

কিন্তু কাতার ভিএআর চেকের আবেদন জানাতে থাকে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সাথে কাতারের জয়ও একরকম নিশ্চিত করে দেন আফিফ।

এতে পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। এর আগে এই কৃতিত্ব আছে কেবল জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন পেনাল্টিতে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন কাতার

আপডেট টাইম : ১১:৪২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে এশিয়ান কাপে অংশ নিয়েছিল কাতার। ফাইনালে জর্ডানের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। শিরোপা জয়ে লড়াই কাতারকে ৩-১ গোলের ব্যবধারে পরাস্থ করে টানা দুইবার এশিয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে মধ্য পাচ্যের দেশটি। তবে তিন গোলের প্রতিটিই পেনাল্টি থেকে এসেছে।শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কাতার ও জর্ডান। এই ম্যাচে তিন পেনাল্টিকে গোলে রূপ দেন আকরাম আফিফ। সেই সঙ্গে জর্ডানের রূপকথা থামিয়ে এশিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও ধরে রেখেছে তার দল।

এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে আফিফকে বক্সে পেছন থেকে আব্দল্লাহ নাসিব ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উদযাপন শুরু হয় লুসাইলের আঙিনায়।

৩২তম মিনিটে আফিফের কর্নারে লুকাস মেন্দেসের হেড গ্লাভসের ছোঁয়ায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইয়াজিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় জর্ডানের। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারির প্লেসিং শট মোহাম্মদ ওয়াদের গায়ে লেগে ব্লকড হয়। এতে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কাতার।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণাতে থাকে জর্ডান। কাতারের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। বারশামের কিছুই করার ছিল না।

তবে সমতায় থাকতে পারে বেশিক্ষণ কারণ, ছয় মিনিট পরইবক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফের লক্ষ্যভেদ করেন আফিফ।

ম্যাচের ১৩ মিনিটের যোগ করা সময়ের শুরুতেই আফিফ আক্রমণে ওঠেন। বলে প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান এই ফরোয়ার্ড। এক পর্যায়ে তার সাথে সংঘর্ষ হয় ছুটে আসা গোলরক্ষকের সাথে। অফসাইডের পতাকাও ওঠে।

কিন্তু কাতার ভিএআর চেকের আবেদন জানাতে থাকে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সাথে কাতারের জয়ও একরকম নিশ্চিত করে দেন আফিফ।

এতে পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। এর আগে এই কৃতিত্ব আছে কেবল জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার।