ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের সেনাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে: সেহেলী সাবরিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৩ বার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের অতিদ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এরইমধ্যে আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এখন যত শিগগির সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত গতকাল বিকেলে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত সম্ভব তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’

মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে কঠিন ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কি ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে এমন প্রশ্নে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেনো হুমকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কস্থ স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।’

বাংলাদেশে পুনরায় মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এটি কি আন্তর্জাতিক কোনো রাজনৈতিক কারণে নাকি প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গেছে। একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথমদিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সেনাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে: সেহেলী সাবরিন

আপডেট টাইম : ১২:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের অতিদ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এরইমধ্যে আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এখন যত শিগগির সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত গতকাল বিকেলে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত সম্ভব তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’

মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে কঠিন ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কি ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে এমন প্রশ্নে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেনো হুমকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কস্থ স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।’

বাংলাদেশে পুনরায় মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এটি কি আন্তর্জাতিক কোনো রাজনৈতিক কারণে নাকি প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গেছে। একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথমদিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছে।’