বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার কোথাও রজব মাসের চাঁদ আজ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল শনিবার পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং রোববার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা করা হবে।
যার ফলে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত (যা সচরাচর শবেমেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত) হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সা:) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার বিধি মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবি মুহাম্মদ (সা:)।
ইসলামের ইতিহাস-অনুযায়ী মুহাম্মাদের (সা:) নবুওয়াতের দশম বৎসরে (৬২১ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মাদ (সা:) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবিদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। নবি মুহাম্মদ (সা:)-এর আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার আগ পর্যন্ত এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) তার সফরসঙ্গী ছিলেন। কুরআন শরিফের সুরা বনি ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে:
“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তার বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।”