ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ প্রকাশের পরও গুরুত্ব দেয়নি এলজিইডি, ব্রীজের এ্যাপ্রোচ এখন নদীতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে মিললো বিশাল সুখবর শরতে কাশফুলের রাজ্যে টানা ৪ দিনের ছুটিতে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন যারা শেখ হাসিনার ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এমন দেশ গড়তে চাই, সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা- জ্বালানি সংকট দূর করতে বাপেক্স আরও ১৫০ কূপ খনন করবে: জ্বালানি উপদেষ্টা ইংল্যান্ড আমাদের সঙ্গে ৮০০ করে, বাংলাদেশও হারায়

বেসরকারি ক্লিনিকে গেলেই সিজার করিয়ে দেওয়া হয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৯ বার

বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোর কারণে দেশে সি-সেকশন (সিজারিয়ান সেকশন) নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ডেলিভারির রোগী বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে গেলেই সিজার করিয়ে দেওয়া হয়, যদিও বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয়। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন সি-সেকশনের হার ৭০ শতাংশ। বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে গেলেই সি-সেকশন করে দেওয়া হয়। এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি অনেক কম। গ্রামাঞ্চলে ধাত্রীদের মাধ্যমে অসংখ্য ডেলিভারি হয়, যে কারণে এখনও মাতৃ ও শিশুমৃত্যু শূন্যের কোঠায় আনা যাচ্ছে না। তবে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সময়সীমা বাড়িয়েছি। আগে হাসপাতালে আট ঘণ্টা ডেলিভারি ছিলো, সেটাকে এখন ২৪ ঘণ্টায় নিয়ে এসেছি। এতে করে আশা করছি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আরও বাড়বে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা পরিবার পরিকল্পনায় ভালো কাজ করছি। দেশের যত অর্জন এর পেছনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের অবদান বেশি। তাদের কারণেই ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ড এসেছে, শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। তাদের কারণেই টিএফআর কমে এসেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের পপুলেশন গ্রোথ ১ দশমিক ২ শতাংশে আছে, যা পূর্বে ৩ শতাংশ ছিল। পপুলেশন আমাদের জন্য বোঝা নয়। আমাদের পপুলেশন আছে বলেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। ইয়ং পপুলেশনকে লেখাপড়া, সুস্বাস্থ্য এবং তাদের কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিতে হবে।

নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীরা এখন ব্যাপক হারে পুলিশে-আর্মিতে চাকরি করছে। আইনজীবী হচ্ছে। বর্তমানে নারীরা সমাজে একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। অর্থনীতিতে নারীদের জন্য একটা সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। নারীরা ব্যবসায় ভালো করছে। গার্মেন্টসগুলোতে অধিকাংশই নারী। তারা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতেও এখন নারীরা ভালো করছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলের নেতা নারী, স্পিকারসহ বড় বড় জায়গাগুলোতে সবাই নারী। উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের জন্য কোটা দেওয়া হয়েছে। এসবের মাধ্যমে দেশে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চাইলে তাদের আর্থিক সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। তবে নারী ক্ষমতায়নে কিছু সমস্যাও আছে। দেশে এখনও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। সে জায়গাগুলোতে নারী ক্ষমতায়ন উপেক্ষিত হচ্ছে। বাল্যবিবাহ এখনও দেশে আছে। অল্প বয়সের একটা মেয়ের বিয়ের মাধ্যমে তার লেখাপড়া ও কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সংবাদ প্রকাশের পরও গুরুত্ব দেয়নি এলজিইডি, ব্রীজের এ্যাপ্রোচ এখন নদীতে

বেসরকারি ক্লিনিকে গেলেই সিজার করিয়ে দেওয়া হয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:১০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোর কারণে দেশে সি-সেকশন (সিজারিয়ান সেকশন) নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ডেলিভারির রোগী বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে গেলেই সিজার করিয়ে দেওয়া হয়, যদিও বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয়। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন সি-সেকশনের হার ৭০ শতাংশ। বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে গেলেই সি-সেকশন করে দেওয়া হয়। এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি অনেক কম। গ্রামাঞ্চলে ধাত্রীদের মাধ্যমে অসংখ্য ডেলিভারি হয়, যে কারণে এখনও মাতৃ ও শিশুমৃত্যু শূন্যের কোঠায় আনা যাচ্ছে না। তবে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সময়সীমা বাড়িয়েছি। আগে হাসপাতালে আট ঘণ্টা ডেলিভারি ছিলো, সেটাকে এখন ২৪ ঘণ্টায় নিয়ে এসেছি। এতে করে আশা করছি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আরও বাড়বে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা পরিবার পরিকল্পনায় ভালো কাজ করছি। দেশের যত অর্জন এর পেছনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের অবদান বেশি। তাদের কারণেই ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ড এসেছে, শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। তাদের কারণেই টিএফআর কমে এসেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের পপুলেশন গ্রোথ ১ দশমিক ২ শতাংশে আছে, যা পূর্বে ৩ শতাংশ ছিল। পপুলেশন আমাদের জন্য বোঝা নয়। আমাদের পপুলেশন আছে বলেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। ইয়ং পপুলেশনকে লেখাপড়া, সুস্বাস্থ্য এবং তাদের কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিতে হবে।

নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীরা এখন ব্যাপক হারে পুলিশে-আর্মিতে চাকরি করছে। আইনজীবী হচ্ছে। বর্তমানে নারীরা সমাজে একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। অর্থনীতিতে নারীদের জন্য একটা সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। নারীরা ব্যবসায় ভালো করছে। গার্মেন্টসগুলোতে অধিকাংশই নারী। তারা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতেও এখন নারীরা ভালো করছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলের নেতা নারী, স্পিকারসহ বড় বড় জায়গাগুলোতে সবাই নারী। উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের জন্য কোটা দেওয়া হয়েছে। এসবের মাধ্যমে দেশে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চাইলে তাদের আর্থিক সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। তবে নারী ক্ষমতায়নে কিছু সমস্যাও আছে। দেশে এখনও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। সে জায়গাগুলোতে নারী ক্ষমতায়ন উপেক্ষিত হচ্ছে। বাল্যবিবাহ এখনও দেশে আছে। অল্প বয়সের একটা মেয়ের বিয়ের মাধ্যমে তার লেখাপড়া ও কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।