ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ষড়যন্ত্র উতরে বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্বাধীন দেশে হত্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • ২১৬ বার

আদিত্য মামুন:

পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগার থেকে ধানমন্ডি ৩২। সবখানেই মুজিবকে হত্যা করতে চেয়েছিল পাক-মার্কিন এজেন্ট। জেলখানায় কয়েদি লেলিয়ে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেলেও ধানমন্ডি হয়েছে রক্তাক্ত। খুনি আর তাদের পরামর্শদাতা এখনও সোচ্চার নানান ইস্যুতে। 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের আগে ও পরে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে বরাবরই ছিল মার্কিন চাপ।

ভূ-রাজনীতির স্বার্থে মার্কিন-পাকিস্তান মিত্রতায় হেনরি কিসিঞ্জার চ্যালেঞ্জ মেনেছিলেন অবিসংবাদিত মুজিবকে। যে কারণে ২৫ মার্চ শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের পর থেকেই তাঁকে অধিকতর নজরদারিতে রেখেছিল আমেরিকা।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, “কিসিঞ্জারের ক্ষমতার দাপট যখন সারাবিশ্বে তখন শেখ মুজিব তার কথা রাখেননি। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে মুজিব। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি কিসিঞ্জার।”

লায়ালপুর আর মিয়ানওয়ালি জেলে একাধিকবার হত্যার চেষ্টাও করেছে পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার অনুগতরা। ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর কবরও খুঁড়েছিল তারা। সাধারণ মানুষকে উস্কে দিতে ভাড়াটে সাংবাদিক আমির তাহিরিকে দিয়ে ইরানের কায়হান ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকায় মুজিব সম্পর্কে বিতর্কিত প্রতিবেদনও করেছিল পাকিস্তান সরকার।

এতো ষড়যন্ত্র উতরে বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্বাধীন দেশের খুনিরা হত্যা করে জাতির জনককে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সার্বজনীন দাবির প্রেক্ষিতে ক’জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও আত্মস্বীকৃত খুনিরা দিব্যি বাস করছে আমেরিকা আর কানাডায়। মানবাধিকারের কথা বলে দেশ দুটি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়ও দিয়ে রেখেছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলেন, “খুনিদের একজন কানাডায় ও আরেকজন আমেরিকায় রয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বিচার ব্যবস্থার অনুসারে তাদেরকে আমাদের দেশে পাঠাও। বিচারে তাদের যা কিছু হবে তা মানদণ্ড হিসেবে দায়ী করা হবে। তখন কয়েকজন বলেছিল, যারা যে দেশে ক্যাপিটাল পানিসমেন্টে আছে সে দেশে আমরা কোনো কনভিক্টকে পাঠাবো না। কিন্তু তোমরা যে লাখ লাখ লোককে খুন করেছো আফগানিস্তান-ইরাক-সিরিয়ায় ও বিভিন্ন জায়গায়। তাদেরকে কি কোর্টের অনুমতি নিয়ে করেছিলে।”

আমেরিকা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শেখ হাসিনার অধিকতর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই তারা একের পর এক এমন কর্মকাণ্ড করছে।

মোহাম্মদ জমির বলেন, “যখন ন্যান্সি ফেলোসিস স্পিকারের চেয়ারের উপরে উঠে প্রসাব করলো, ওনার ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে গেলো তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কি কিছু বলেছিল। কিছুই বলেনি, চুপচাপ ছিল। কেন চুপচাপ ছিল। এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প মানছেনা যে সে নির্বাচনে হেরেছিল।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ষড়যন্ত্র উতরে বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্বাধীন দেশে হত্যা

আপডেট টাইম : ১১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

আদিত্য মামুন:

পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগার থেকে ধানমন্ডি ৩২। সবখানেই মুজিবকে হত্যা করতে চেয়েছিল পাক-মার্কিন এজেন্ট। জেলখানায় কয়েদি লেলিয়ে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেলেও ধানমন্ডি হয়েছে রক্তাক্ত। খুনি আর তাদের পরামর্শদাতা এখনও সোচ্চার নানান ইস্যুতে। 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের আগে ও পরে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে বরাবরই ছিল মার্কিন চাপ।

ভূ-রাজনীতির স্বার্থে মার্কিন-পাকিস্তান মিত্রতায় হেনরি কিসিঞ্জার চ্যালেঞ্জ মেনেছিলেন অবিসংবাদিত মুজিবকে। যে কারণে ২৫ মার্চ শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের পর থেকেই তাঁকে অধিকতর নজরদারিতে রেখেছিল আমেরিকা।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, “কিসিঞ্জারের ক্ষমতার দাপট যখন সারাবিশ্বে তখন শেখ মুজিব তার কথা রাখেননি। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে মুজিব। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি কিসিঞ্জার।”

লায়ালপুর আর মিয়ানওয়ালি জেলে একাধিকবার হত্যার চেষ্টাও করেছে পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার অনুগতরা। ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর কবরও খুঁড়েছিল তারা। সাধারণ মানুষকে উস্কে দিতে ভাড়াটে সাংবাদিক আমির তাহিরিকে দিয়ে ইরানের কায়হান ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকায় মুজিব সম্পর্কে বিতর্কিত প্রতিবেদনও করেছিল পাকিস্তান সরকার।

এতো ষড়যন্ত্র উতরে বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্বাধীন দেশের খুনিরা হত্যা করে জাতির জনককে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সার্বজনীন দাবির প্রেক্ষিতে ক’জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও আত্মস্বীকৃত খুনিরা দিব্যি বাস করছে আমেরিকা আর কানাডায়। মানবাধিকারের কথা বলে দেশ দুটি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়ও দিয়ে রেখেছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলেন, “খুনিদের একজন কানাডায় ও আরেকজন আমেরিকায় রয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বিচার ব্যবস্থার অনুসারে তাদেরকে আমাদের দেশে পাঠাও। বিচারে তাদের যা কিছু হবে তা মানদণ্ড হিসেবে দায়ী করা হবে। তখন কয়েকজন বলেছিল, যারা যে দেশে ক্যাপিটাল পানিসমেন্টে আছে সে দেশে আমরা কোনো কনভিক্টকে পাঠাবো না। কিন্তু তোমরা যে লাখ লাখ লোককে খুন করেছো আফগানিস্তান-ইরাক-সিরিয়ায় ও বিভিন্ন জায়গায়। তাদেরকে কি কোর্টের অনুমতি নিয়ে করেছিলে।”

আমেরিকা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শেখ হাসিনার অধিকতর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই তারা একের পর এক এমন কর্মকাণ্ড করছে।

মোহাম্মদ জমির বলেন, “যখন ন্যান্সি ফেলোসিস স্পিকারের চেয়ারের উপরে উঠে প্রসাব করলো, ওনার ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে গেলো তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কি কিছু বলেছিল। কিছুই বলেনি, চুপচাপ ছিল। কেন চুপচাপ ছিল। এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প মানছেনা যে সে নির্বাচনে হেরেছিল।”