আনুষ্ঠানিকভাবে রাজমুকুট পরার মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হলেন তৃতীয় চালর্স। স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। সাত দশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে জমকালো এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের শতাধিক দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চালর্স, রানী ক্যামেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে’র পথে যাত্রা।
লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী সাড়ে ৭শ’ বছরের পুরোনো এই গির্জায়ই রাজ্যাভিষেকের আয়োজন। একে একে জড়ো হন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানরা। যোগ দেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীরাও। রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও দেখা যায়নি তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ক্যান্টাবুরির আর্চবিশপের নেতৃত্বে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। প্রথমেই রাজা হিসেবে শপথ নেন চালর্স।
বাইবেল থেকে পাঠ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
এরপর একে একে রাজদণ্ড, আংটি পরার পর আসে মুকুট পরার ক্ষণ। সাড়ে ৩শ বছরের বেশি পুরনো সেইন্ট এডওয়ার্ডের মুকুট পরেন চালর্স।
প্রায় ৭০ বছর এই রাজমুকুটের উত্তরাধিকারী হিসেবে জীবন কাটিয়ে অবশেষে ব্রিটেনের প্রবীণতম রাজা হলেন চালর্স। এসময় দেশটির বিভিন্ন স্থানে গান-সেলুটের মাধ্যমে রাজাকে স্বাগত জানানো হয়।
একই অনুষ্ঠানে চার্লসের স্ত্রী ক্যামেলিয়াকেও রানির মুকুট পরানো হয়।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঘোড়ার গাড়িতে বাকিংহাম প্রাসাদে ফিরেন চার্লস ও ক্যামিলা। এক মাইলের এই শোভাযাত্রায় তাদের সঙ্গে ছিলো ৩৯টি দেশের চার হাজার সামরিক সদস্য।
গেল সেপ্টেম্বরে রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত হলেন চার্লস।
এদিকে চালর্সের রাজ্যাভিষেকের দিনে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছে রাজতন্ত্রবিরোধীরা। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।