ঈদের আমেজে নতুন মাত্রা আসন্ন সিটি নির্বাচন

ঈদের আমেজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আসন্ন সিটি নির্বাচন। ইতোমধ্যেই প্রচারণায় নেমেছেন মেয়র প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও।

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি নির্বাচন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আগেভাগেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক।

মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, “কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য সময়ের দরকার অতএব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।”

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত দেয়নি বিএনপি। অন্যদিকে প্রচারে নেমে পড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী।

খুলনা মহানগর বিএনপি সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, “বিএনপি সংগঠিত আছে এবং জনগণের কাছে আছে। নির্বাচনে দল যদি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে প্রস্তুতি নিতে আমাদের কোনো বেগ পেতে হবেনা।”

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, “মোবাইলের মাধ্যমে ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি, এখনও সেটা অব্যাহতভাবে চলছে। তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি।”

বরিশালে কুশল বিনিময় শেষে নির্বাচনের মাঠে করণীয় সম্পর্কে নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসও।

দল ক্ষমতায় থাকলেও গত দশ বছর সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মসনদের বাইরে আওয়ামী লীগ। এবার নৌকার টিকিট পেয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আমরা সবাই মিলেমিশে আগামী দিনে এই নগরীকে গড়ে তুলতে চাই।”

নির্বাচনে অংশ নেবেন কী না, ঘোষণা না দিলেও প্রশাসনে রদবদল ও সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি দলীয় মেয়র।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “যদি অন্যায়ভাবে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার কিংবা আমাদের ঐক্য বিনষ্টের কোনো চেষ্টা করে, এই পূণ্যভূমির মাটি কখনও এদেরকে ছাড়েনা।”

এদিকে, মাঠে নেমেছেন ৪২টি ওয়ার্ডের দুইশ’র বেশি কাউন্সিলর প্রার্থী।

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি নির্বাচন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর