সিরাজগঞ্জে এবার হাইব্রিড ভ’ট্রা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই এ ভ’ট্রা অনেক স্থানে কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। বাজারে এ নতুন ভ’ট্রার দাম এখন ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা এবার ১৪ হাজার ২১ হেক্টর জমিতে ভ’ট্রার আবাদ করেছে। এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার মেঃ টন। কৃষকেরা নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ ভ’ট্রা চাষে ঝুকে পড়ে। কম খরচে এ লাভজনক চাষে ঝুকে পড়েছিল কৃষকেরা। এতে গত বছরের চেয়ে এবার এ ভ’টা চাষ বেশি হয়েছে।
এ জেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী চৌহালী, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে হাইব্রিড এ ভ’ট্রা চাষ করেছে কৃষকেরা। এছাড়া ঐতিহাসিক চলনবিল এলাকার তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভ’ট্রা চাষও ভালো হয়েছে। তবে যমুনা নদীর চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। বিস্তৃর্ণ এ ভ’ট্রার সমারোহ সৃষ্টি এবং সোনালী রঙ্গের ভ’ট্রার থোরে সবার দৃষ্টি কাড়ছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে নারী পুরুষেরা এ দৃশ্য দেখতে যাচ্ছে এখন গ্রামঞ্চলে। আর কৃষকের কাছ থেকে সোনালী রঙ্গের ওই ভ’ট্রার থোর কিনছে অন্য রকম আনন্দে।
গত সপ্তাহের প্রথম থেকে এ ভ’ট্রা কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারে এ নতুন ভ’ট্রা উঠছে এবং প্রতি মণ ভ’ট্রা সাড়ে ৮’শ টাকা থেকে ৯’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কম খরচে লাভবান এ হাইব্রিড ভ’ট্রা চাষে ঝুকছে কৃষকেরা। হাইব্রিড, সুপার শাহিন ২৭৪০ ভ’ট্রার চাষ বেশি হয়েছে। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন ও বাজার মূল্য এখন ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতিমধ্যেই এ ভ’ট্রা কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগীতায় কৃষকেরা এ ভ’ট্রার চাষাবাদ করেছে। আবওয়া অনুক’লে থাকায় এ চাষাবাদ ভালো হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। আগামীতে এ লাভজনক চাষাবাদ আরো বেশি হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।