ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

হাঁপানির লক্ষণগুলো কী? সুস্থ থাকতে করণীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • ১৬৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাঁপানি বংশগত হতে পারে আবার পরিবেশগত কারণেও হতে পারে। তবে ইদানীং পরিবেশগত কারণটিই বেশি দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক যে কারো হাঁপানি হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি উদ্যোগ গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমার বাংলাদেশ সমন্বয়ক ডা. কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর বলেছেন হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণ চারটি।

মাঝে মাঝেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয়

নিঃশ্বাসের সঙ্গে সাঁ সাঁ শব্দ হয়
শুকনা কাশি, প্রায়শই এই কাশি একটানা অনেকক্ষণ ধরে চলে। বুকে চাপ অনুভব হয়
খুব অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যায়

এই লক্ষণগুলো যদি থাকে তাহলে আপনি সম্ভবত হাঁপানিতে আক্রান্ত। এসব সমস্যা লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারা পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। যেদিন বাতাসে খুব ধুলোবালি থাকে, বিশেষ করে গরমকালে, সেই ধুলোবালি যদি নাকে যায় তাহলে সাথে সাথে হাঁচি শুরু হয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট হয়, শ্বাসে টান উঠে যায়। তখন আমাকে ইনহেলার নিতে হয়। বদ্ধ ঘরে কয়েকদিন থাকলেও একই ধরনের সমস্যা হয়।

শহরে হাঁপানি বৃদ্ধির অন্য কারণগুলোর একটি ঘনবসতি। শহরে বহু মানুষকে খুব ঘিঞ্জি ঘরে বসবাস করতে হয় যা ঘরের ভেতরের পরিবেশকে স্যাঁতসেঁতে ও অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। ঘরের কোনায়, আসবাবের তলায় জমে থাকা ধুলো এবং সেই ধুলোয় ‘ডাস্ট মাইট’ নামে এক ধরনের কীট বেশি তৈরি হয়। ধুলো এবং এই কীট হাঁপানি বাড়িয়ে দেয়। রান্না থেকে যে ধোঁয়া তৈরি হয় তাতেও ঘরের ভেতরে পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে। শহরে বদ্ধ ঘরে রান্নার ধোঁয়া বের হওয়ার জন্য ব্যবস্থা থাকে না, যা বিশেষ করে নারী ও শিশুদের আক্রান্ত করে। গ্রামাঞ্চলে পরিবেশ খোলামেলা হওয়ার কারণে এসব সমস্যা কম হয়ে থাকে।

সুস্থ থাকতে করণীয়:
গাড়ির দূষণ রয়েছে, প্রচুর নির্মাণকাজ চলছে এমন জায়গায় গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরদোর নিয়মিত পরিষ্কার করা, ঘরে কাগজপত্র জমিয়ে না রাখা, বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
কিছু টিকা রয়েছে যা নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে দেয়া হয়ে থাকে। সেগুলো হাঁপানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
সুষ্ঠু জীবনযাপন, ভাল খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, ধূমপান পরিত্যাগ-এই কয়েকটি বিষয়ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খোলামেলা পরিবেশ ও নির্মল বাতাসে থাকার চেষ্টা করা।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয় রূপকথার মতো শোনাবে কিন্তু তবুও চেষ্টা করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ২২ হাজার নতুন নিয়োগের ঘোষণা আসছে

হাঁপানির লক্ষণগুলো কী? সুস্থ থাকতে করণীয়

আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাঁপানি বংশগত হতে পারে আবার পরিবেশগত কারণেও হতে পারে। তবে ইদানীং পরিবেশগত কারণটিই বেশি দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক যে কারো হাঁপানি হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি উদ্যোগ গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমার বাংলাদেশ সমন্বয়ক ডা. কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর বলেছেন হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণ চারটি।

মাঝে মাঝেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয়

নিঃশ্বাসের সঙ্গে সাঁ সাঁ শব্দ হয়
শুকনা কাশি, প্রায়শই এই কাশি একটানা অনেকক্ষণ ধরে চলে। বুকে চাপ অনুভব হয়
খুব অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যায়

এই লক্ষণগুলো যদি থাকে তাহলে আপনি সম্ভবত হাঁপানিতে আক্রান্ত। এসব সমস্যা লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারা পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। যেদিন বাতাসে খুব ধুলোবালি থাকে, বিশেষ করে গরমকালে, সেই ধুলোবালি যদি নাকে যায় তাহলে সাথে সাথে হাঁচি শুরু হয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট হয়, শ্বাসে টান উঠে যায়। তখন আমাকে ইনহেলার নিতে হয়। বদ্ধ ঘরে কয়েকদিন থাকলেও একই ধরনের সমস্যা হয়।

শহরে হাঁপানি বৃদ্ধির অন্য কারণগুলোর একটি ঘনবসতি। শহরে বহু মানুষকে খুব ঘিঞ্জি ঘরে বসবাস করতে হয় যা ঘরের ভেতরের পরিবেশকে স্যাঁতসেঁতে ও অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। ঘরের কোনায়, আসবাবের তলায় জমে থাকা ধুলো এবং সেই ধুলোয় ‘ডাস্ট মাইট’ নামে এক ধরনের কীট বেশি তৈরি হয়। ধুলো এবং এই কীট হাঁপানি বাড়িয়ে দেয়। রান্না থেকে যে ধোঁয়া তৈরি হয় তাতেও ঘরের ভেতরে পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে। শহরে বদ্ধ ঘরে রান্নার ধোঁয়া বের হওয়ার জন্য ব্যবস্থা থাকে না, যা বিশেষ করে নারী ও শিশুদের আক্রান্ত করে। গ্রামাঞ্চলে পরিবেশ খোলামেলা হওয়ার কারণে এসব সমস্যা কম হয়ে থাকে।

সুস্থ থাকতে করণীয়:
গাড়ির দূষণ রয়েছে, প্রচুর নির্মাণকাজ চলছে এমন জায়গায় গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরদোর নিয়মিত পরিষ্কার করা, ঘরে কাগজপত্র জমিয়ে না রাখা, বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
কিছু টিকা রয়েছে যা নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে দেয়া হয়ে থাকে। সেগুলো হাঁপানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
সুষ্ঠু জীবনযাপন, ভাল খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, ধূমপান পরিত্যাগ-এই কয়েকটি বিষয়ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খোলামেলা পরিবেশ ও নির্মল বাতাসে থাকার চেষ্টা করা।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয় রূপকথার মতো শোনাবে কিন্তু তবুও চেষ্টা করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি