ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকেল হলেই শুরু হয় ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • ১৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখি। যেন পাখিদের মিলন মেলা। দলবেধে উড়ে এসে বসে গাছের ডালপালায়। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভরে ওঠে চড়ুই পাখিতে। আর তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর থাকে গোটা এলাকা।

এ চিত্র লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে এবং আশেপাশে থাকা গাছপালাগুলোর। প্রতিদিন বিকেল হলেই হাজার হাজার চড়ুই পাখি দলবদ্ধ হয়ে গাছে এসে বসে।

স্থানীয়রা জানান, সারাদিন এ স্থানটি ফাঁকা থাকে। তবে বিকেল হলেই শুরু হয় পাখিদের আনাগোনা। ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখি এসে বসতে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন আশপাশের গাছপালাগুলোতে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত হাজার হাজার পাখি এসে জড়ো হয় এলাকাটিতে। পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এসময় এক অপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

তারা জানান, প্রজনন মৌসুমে চড়ুই পাখির উপস্থিতি কমে যায়। তখন মানুষের বাসাবাড়ির ফাঁক ফোঁকরে এরা বাসা বানায়। ডিম দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। ওড়ার বয়স হলে বাচ্চাগুলো বাসা ছেড়ে মা পাখির দেখাদেখি গাছে এসে অবস্থান নেয়।

স্থানীয় মুদি দোকানি আবদুল্লাহ আল হাদী বাংলানিউজকে বলেন, আমার দোকানের সমানে কয়েকটি আম গাছ আছে। বিকেল হলেই চড়ুই পাখি এসে গাছে বসে। পাখিগুলো গাছেই রাত কাটায়। তবে সন্ধ্যার পর হলে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ থাকে তাদের কিচিরমিচির। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও তারা গাছের মধ্যে বসে রাত পার করে।

তিনি জানান, সকালে আলো ফোটার আগেই আবার কিচিরমিচির শুরু হয়। তখন পাখিগুলো দলবদ্ধভাবে খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।

কামাল হোসেন নামে পল্লী বিদ্যুতের একজন কর্মী বলেন, অফিসের ভেতরে থাকা ঝাউগাছ, কৃষ্ণচূড়া, আম, কাঁঠালগাছসহ সবগুলো গাছের ডালপালা চড়ুই পাখিদের সমায়িক আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। বিকেলের দিকে পাখিগুলো যখন আসে, তখন খুব সুন্দর দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

খবির হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, একসঙ্গে হাজার হাজার চড়ুই পাখি আগে দেখা গেলেও এখন সাধারণত দেখা মেলে না। তবে এ স্থানটিতে তারা নিরাপদে থাকতে পারছে। কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না। তাই দীর্ঘদিন ধরে এসব পাখি এখানে অবস্থান নিয়ে রাত্রিযাপন করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিকেল হলেই শুরু হয় ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির

আপডেট টাইম : ১০:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখি। যেন পাখিদের মিলন মেলা। দলবেধে উড়ে এসে বসে গাছের ডালপালায়। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভরে ওঠে চড়ুই পাখিতে। আর তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর থাকে গোটা এলাকা।

এ চিত্র লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে এবং আশেপাশে থাকা গাছপালাগুলোর। প্রতিদিন বিকেল হলেই হাজার হাজার চড়ুই পাখি দলবদ্ধ হয়ে গাছে এসে বসে।

স্থানীয়রা জানান, সারাদিন এ স্থানটি ফাঁকা থাকে। তবে বিকেল হলেই শুরু হয় পাখিদের আনাগোনা। ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখি এসে বসতে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন আশপাশের গাছপালাগুলোতে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত হাজার হাজার পাখি এসে জড়ো হয় এলাকাটিতে। পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এসময় এক অপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

তারা জানান, প্রজনন মৌসুমে চড়ুই পাখির উপস্থিতি কমে যায়। তখন মানুষের বাসাবাড়ির ফাঁক ফোঁকরে এরা বাসা বানায়। ডিম দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। ওড়ার বয়স হলে বাচ্চাগুলো বাসা ছেড়ে মা পাখির দেখাদেখি গাছে এসে অবস্থান নেয়।

স্থানীয় মুদি দোকানি আবদুল্লাহ আল হাদী বাংলানিউজকে বলেন, আমার দোকানের সমানে কয়েকটি আম গাছ আছে। বিকেল হলেই চড়ুই পাখি এসে গাছে বসে। পাখিগুলো গাছেই রাত কাটায়। তবে সন্ধ্যার পর হলে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ থাকে তাদের কিচিরমিচির। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও তারা গাছের মধ্যে বসে রাত পার করে।

তিনি জানান, সকালে আলো ফোটার আগেই আবার কিচিরমিচির শুরু হয়। তখন পাখিগুলো দলবদ্ধভাবে খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।

কামাল হোসেন নামে পল্লী বিদ্যুতের একজন কর্মী বলেন, অফিসের ভেতরে থাকা ঝাউগাছ, কৃষ্ণচূড়া, আম, কাঁঠালগাছসহ সবগুলো গাছের ডালপালা চড়ুই পাখিদের সমায়িক আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। বিকেলের দিকে পাখিগুলো যখন আসে, তখন খুব সুন্দর দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

খবির হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, একসঙ্গে হাজার হাজার চড়ুই পাখি আগে দেখা গেলেও এখন সাধারণত দেখা মেলে না। তবে এ স্থানটিতে তারা নিরাপদে থাকতে পারছে। কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না। তাই দীর্ঘদিন ধরে এসব পাখি এখানে অবস্থান নিয়ে রাত্রিযাপন করে।