ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারাও মসজিদে মানতে হবে ৯ নির্দেশনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • ১২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশজুড়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করাসহ ছয় দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। সেই সঙ্গে নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়নের আদেশও দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরই মাঝে নতুন করে ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে নয়টি নির্দেশনা মেনে চলার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করোনায় আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গত ২৬ জুনের ডিওপত্রে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় দেশের সব ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নয়টি নির্দেশনা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। নির্দেশনাগেুলো হলো-

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/ হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। সেই সঙ্গে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করার পাশাপাশি সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে তবেই মসজিদে আসতে হবে। সেই সঙ্গে ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

৪. মসজিদে কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ ছাড়াও যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৬. করোনার সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. বর্তমান প্রেক্ষাপটে সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর সকল নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে বাঁচতে নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।

৯. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব নির্দেশনা অমান্য করলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের লাগাম কষতে ছয় দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে মানতে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

৩. মসজিদের মেঝেতে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ সঙ্গে আনতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আবারাও মসজিদে মানতে হবে ৯ নির্দেশনা

আপডেট টাইম : ১০:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশজুড়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করাসহ ছয় দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। সেই সঙ্গে নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়নের আদেশও দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরই মাঝে নতুন করে ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে নয়টি নির্দেশনা মেনে চলার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করোনায় আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গত ২৬ জুনের ডিওপত্রে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় দেশের সব ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নয়টি নির্দেশনা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। নির্দেশনাগেুলো হলো-

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/ হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। সেই সঙ্গে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করার পাশাপাশি সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে তবেই মসজিদে আসতে হবে। সেই সঙ্গে ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

৪. মসজিদে কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ ছাড়াও যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৬. করোনার সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. বর্তমান প্রেক্ষাপটে সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর সকল নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে বাঁচতে নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।

৯. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব নির্দেশনা অমান্য করলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের লাগাম কষতে ছয় দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে মানতে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

৩. মসজিদের মেঝেতে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ সঙ্গে আনতে হবে।