লেবুর রসের নানা গুণ রয়েছে। এটা আপনার স্কিন গ্লো করাসহ মসৃণ এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ লেবুর রসের শরবত শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও সহায়ক। আর লেবুর শরবতের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে একটা লেবুতে রয়েছে মাত্র ২৫ ক্যালরির চেয়ে কম খাদ্য শক্তি। লেবুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, পেকটিন ফাইবার, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ ও আয়রণ ও ভিটামিন এ। তাই প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস হালকা গরম পানি লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। সুস্থ ও সুন্দর থাকুন। এবার জেনে নিন লেবুর শরবতের স্বাস্থ্য বেনিফিটগুলো।
এক: লেবুর রসে ভিটামিন ‘সি’ ও দরকারি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দুই: লেবুর পেকটিন ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রনালী বা কোলনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে এবং শক্তিশালী জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে। তিন: লেবুর রস শরীরের পিএইচ লেভেল-এর মধ্যে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে। চার:প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে লেবুর শরবত শরীরে টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সহায়ক। পাঁচ: লেবুর রস আমাদের হজমে সহায়তা করে শরীরের জন্য দরকারি বাইল বা পিত্ত উত্পাদনে সহায়তা করে। ছয়:লেবুতে রয়েছে শরীরের জন্য দরকারি সাইট্রিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। সাত: লেবু ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু বৃদ্ধিকে থামিয়ে দিয়ে ইনফেকশন রোধ করে। আট: লেবু আমাদের বাত ব্যথা হ্রাস করে এবং ইউরিকের এসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয়। নয়:লেবুর শরবত সাধারণ ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি লাঘবে সহায়ক এবং মস্তিষ্ক কোষকে উজ্জীবিত করে। দশ:লেবু শরীরের লিভার এনজাইমকে শক্তি যোগায়। ফলে লিভার সুরক্ষিত থাকে। এগার:লেবু ক্যালসিয়াম ও অক্সিজেনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। বার:লেবু আমাদের হার্ট বার্ন বা বুকে ব্যথা লাঘবে সহায়তা করে। তের:স্কিন বা ত্বকের জন্য লেবুর রস অত্যন্ত উপকারী। এটা ত্বকের ভাঁজ বা রিংকেল পড়া থেকে রক্ষা করে। চৌদ্দ: লেবুর রসের শরবত চোখের জন্য ভালো এবং এটা ডাইজেস্টিভ জুস তৈরিতেও সহায়ক। পনের:ওয়ার্ক আউট বা ব্যায়াম করার পর এক গ্লাস লেবুর শরবত শরীর সতেজ করতে সহায়ক। ষোল:লেবুর রসের শরবত আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।