ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাওয়াই মচকে গেলে পায়ে ম্যাসাজ নয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • ১২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা পা মচকে যাওয়া। পা মচকে যাওয়া কথাটি মূলত বাংলায় ব্যবহৃত হয়। এটার মেডিক্যাল শব্দ হচ্ছে অ্যাংকল স্প্রেইন। এই ধরনের ইনজুরিতে হাড়ের তেমন ক্ষতি হয় না তবে হাড়কে সংযুক্ত করা বিভিন্ন ধরনের লিগামেন্ট ইনজুরি হয়।

কারণ

♦ কোনো কারণে উঁচু থেকে পা বাঁকা অবস্থায় পড়ে এ ধরনের ইনজুরি হতে পারে।

♦ স্বেচ্ছায় লাফিয়ে পড়ার সময় এরকম হতে পারে।

♦ খেলাধুলার সময়

♦ উঁচু-নিচু জায়গায় হাঁটা বা ব্যায়াম করার সময়

লক্ষণ

♦ পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়

♦ পা ফুলে যায়

♦ পা ফেলতে কষ্ট হয়

করণীয়

খেলাধুলার আগে হালকা ব্যয়াম করে, সঠিক মাপের জুতা পরে, হাই হিল জুতা পরিহার করে এবং অসমতল জায়গায় (যেমন পাহাড় উঁচু-নিচু তল) হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় কেডস ব্যবহার করে পা মচকানোর ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে। যদি মচকে যায় তবে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ব্যথা নিরাময়ের জন্য আইস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

পায়ের ফোলা ভাব কমাতে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ দিয়ে পা পেঁচিয়ে রাখতে পারেন। পা উঁচু রাখার মাধ্যমে পা ফোলা কমানো যায়। তবে  কোনোভাবেই পা ম্যাসাজ করা যাবে না।

প্রয়োজনে তিন থেকে পাঁচ দিন ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে পা মচকে যাওয়া থেকে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা এমনকি পায়ের স্বাভাবিক নাড়াচাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. আহাদ হোসেন

কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, কাঁটাবন, ঢাকা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দাওয়াই মচকে গেলে পায়ে ম্যাসাজ নয়

আপডেট টাইম : ০৯:২৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা পা মচকে যাওয়া। পা মচকে যাওয়া কথাটি মূলত বাংলায় ব্যবহৃত হয়। এটার মেডিক্যাল শব্দ হচ্ছে অ্যাংকল স্প্রেইন। এই ধরনের ইনজুরিতে হাড়ের তেমন ক্ষতি হয় না তবে হাড়কে সংযুক্ত করা বিভিন্ন ধরনের লিগামেন্ট ইনজুরি হয়।

কারণ

♦ কোনো কারণে উঁচু থেকে পা বাঁকা অবস্থায় পড়ে এ ধরনের ইনজুরি হতে পারে।

♦ স্বেচ্ছায় লাফিয়ে পড়ার সময় এরকম হতে পারে।

♦ খেলাধুলার সময়

♦ উঁচু-নিচু জায়গায় হাঁটা বা ব্যায়াম করার সময়

লক্ষণ

♦ পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়

♦ পা ফুলে যায়

♦ পা ফেলতে কষ্ট হয়

করণীয়

খেলাধুলার আগে হালকা ব্যয়াম করে, সঠিক মাপের জুতা পরে, হাই হিল জুতা পরিহার করে এবং অসমতল জায়গায় (যেমন পাহাড় উঁচু-নিচু তল) হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় কেডস ব্যবহার করে পা মচকানোর ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে। যদি মচকে যায় তবে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ব্যথা নিরাময়ের জন্য আইস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

পায়ের ফোলা ভাব কমাতে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ দিয়ে পা পেঁচিয়ে রাখতে পারেন। পা উঁচু রাখার মাধ্যমে পা ফোলা কমানো যায়। তবে  কোনোভাবেই পা ম্যাসাজ করা যাবে না।

প্রয়োজনে তিন থেকে পাঁচ দিন ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে পা মচকে যাওয়া থেকে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা এমনকি পায়ের স্বাভাবিক নাড়াচাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. আহাদ হোসেন

কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, কাঁটাবন, ঢাকা