ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব কারণে মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানব শরীরের প্রতিটি হৃদস্পন্দন অত্যন্ত ছন্দবদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়। তবে হৃদস্পন্দনের হার ব্যক্তি ভেদে প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০-ও হতে পারে।

স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হৃদস্পন্দনের হার একাধিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। প্রতি মিনিটে ১০০ টির বেশি হৃদস্পন্দন হলে সেই অবস্থাকে ‘ট্যাকিকার্ডিয়া’ বলা হয়। প্রতি মিনিটে ৬০-এর কম হৃদস্পন্দন পড়লে তাকে ‘ব্রাডিকার্ডিয়া’ বলা হয়। প্রতিটি হৃদ্স্পন্দন একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পড়ে।

কিন্তু কখনো খুব দ্রুত হারে হৃদস্পন্দন হতে থাকে। যা সকলে বুক ধড়ফড় বলে চেনেন। তবে সবসময়ে এটি ভীতিজনক নয়। মূলত দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি কাজে মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করতে পারে। কিন্তু বেশ অনেকক্ষণ ধরে এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সুরক্ষা নেয়া প্রয়োজন। তবে তার আগে এই দ্রুত হৃদস্পন্দনের কারণগুলো জানা থাকলে হয়তো গোড়াতেই সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে।

চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন কারণ মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করে-

মানসিক উদ্বেগ

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে পারে। অনেকেই সেই চাপ সামলাতে পারেন না। দ্রুত হৃদস্পন্দনের হার উদ্বেগ ও মানসিক চাপের অন্যতম লক্ষণ। কোনো বিষয়ে প্রচন্ড উদ্বিগ্ন থাকলে বুক ধড়ফড় করতে পারে।

শরীরচর্চা করার পর

অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম বা জিম করার পর হৃদস্পন্দন দ্রুত প্রবাহিত হয়। শরীরচর্চার পর পেশিগুলো আরো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই জন্য এমন হয়। ব্যায়াম করার পর বুক ধড়ফড় করা ভয়েক কিছু নেই। স্বাভাবিক কারণেই এমন হয়।

ঋতুস্রাবের সময়

মাসের বেশ কয়েকটি দিন এমনিতেই অস্বস্তিতে কাটে মেয়েদের। ঋতুস্রাবের সময় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে হৃদস্পন্দনের হার। অন্তঃসত্ত্বা বা ঋতুবন্ধের সময়েও অনেকের মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

 

ধূমপান থেকে বিরত থাকলে

শরীর সুস্থ রাখতে ধূমপান থেকে বিরত থাকা জরুরি। তবে হঠাৎ করে সিগারেট ছাড়লে মাথা ব্যথা, অনিদ্রার মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বুক ধড়ফড়ও করে। তবে ধূমপান ছাড়ার ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যা চলে যায়।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে

হঠাৎকরেই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বুক ধড়ফড় করতে পারে। সংক্রমণ জনিত কারণে হঠাৎ জ্বর এলে বাড়তে পারে হৃদস্পন্দন। শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেন হাইটের উপরে ওঠে তাহলে এমন অনুভূতি হতে পারে।

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অভ্যাসের কারণে হৃদস্পন্দনের হার বাড়তে পারে। সব সময় এটি গুরুতর হয়ে ওঠে না। এই ধড়ফড় মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এবং একবারই ঘটে। তবে এটি সমস্যাজনক হয়ে উঠতে পারে যদি এর সঙ্গে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়। সেগুলো হলো-

১) বুকে ব্যথা

২) নিশ্বাস নিতে কষ্ট

৩) মাথা ঘোরা

৪) অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

বুক ধড়ফড়ানির সঙ্গে যদি এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যেসব কারণে মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করে

আপডেট টাইম : ১১:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানব শরীরের প্রতিটি হৃদস্পন্দন অত্যন্ত ছন্দবদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়। তবে হৃদস্পন্দনের হার ব্যক্তি ভেদে প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০-ও হতে পারে।

স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হৃদস্পন্দনের হার একাধিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। প্রতি মিনিটে ১০০ টির বেশি হৃদস্পন্দন হলে সেই অবস্থাকে ‘ট্যাকিকার্ডিয়া’ বলা হয়। প্রতি মিনিটে ৬০-এর কম হৃদস্পন্দন পড়লে তাকে ‘ব্রাডিকার্ডিয়া’ বলা হয়। প্রতিটি হৃদ্স্পন্দন একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পড়ে।

কিন্তু কখনো খুব দ্রুত হারে হৃদস্পন্দন হতে থাকে। যা সকলে বুক ধড়ফড় বলে চেনেন। তবে সবসময়ে এটি ভীতিজনক নয়। মূলত দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি কাজে মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করতে পারে। কিন্তু বেশ অনেকক্ষণ ধরে এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সুরক্ষা নেয়া প্রয়োজন। তবে তার আগে এই দ্রুত হৃদস্পন্দনের কারণগুলো জানা থাকলে হয়তো গোড়াতেই সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে।

চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন কারণ মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করে-

মানসিক উদ্বেগ

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে পারে। অনেকেই সেই চাপ সামলাতে পারেন না। দ্রুত হৃদস্পন্দনের হার উদ্বেগ ও মানসিক চাপের অন্যতম লক্ষণ। কোনো বিষয়ে প্রচন্ড উদ্বিগ্ন থাকলে বুক ধড়ফড় করতে পারে।

শরীরচর্চা করার পর

অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম বা জিম করার পর হৃদস্পন্দন দ্রুত প্রবাহিত হয়। শরীরচর্চার পর পেশিগুলো আরো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই জন্য এমন হয়। ব্যায়াম করার পর বুক ধড়ফড় করা ভয়েক কিছু নেই। স্বাভাবিক কারণেই এমন হয়।

ঋতুস্রাবের সময়

মাসের বেশ কয়েকটি দিন এমনিতেই অস্বস্তিতে কাটে মেয়েদের। ঋতুস্রাবের সময় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে হৃদস্পন্দনের হার। অন্তঃসত্ত্বা বা ঋতুবন্ধের সময়েও অনেকের মাঝেমাঝেই বুক ধড়ফড় করে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

 

ধূমপান থেকে বিরত থাকলে

শরীর সুস্থ রাখতে ধূমপান থেকে বিরত থাকা জরুরি। তবে হঠাৎ করে সিগারেট ছাড়লে মাথা ব্যথা, অনিদ্রার মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বুক ধড়ফড়ও করে। তবে ধূমপান ছাড়ার ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যা চলে যায়।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে

হঠাৎকরেই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বুক ধড়ফড় করতে পারে। সংক্রমণ জনিত কারণে হঠাৎ জ্বর এলে বাড়তে পারে হৃদস্পন্দন। শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেন হাইটের উপরে ওঠে তাহলে এমন অনুভূতি হতে পারে।

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অভ্যাসের কারণে হৃদস্পন্দনের হার বাড়তে পারে। সব সময় এটি গুরুতর হয়ে ওঠে না। এই ধড়ফড় মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এবং একবারই ঘটে। তবে এটি সমস্যাজনক হয়ে উঠতে পারে যদি এর সঙ্গে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়। সেগুলো হলো-

১) বুকে ব্যথা

২) নিশ্বাস নিতে কষ্ট

৩) মাথা ঘোরা

৪) অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

বুক ধড়ফড়ানির সঙ্গে যদি এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।