ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে রিটের শুনানিকালে হাইকোর্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
  • ১৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যারা কুক্ষিগত করে রেখে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। সামনে রমজান মাস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে পারে। এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ভোজ্য তেল সয়াবিনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে করা রিটের শুনানিকালে আইনজীবীর উদ্দেশ্যে গতকাল রোববার আদালত এ মন্তব্য করেন। পরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের তারিখ ধার্য করেন আজ (সোমবার)।
আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, শুধু সয়াবিন তেল নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের কথা রিটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এমন আদেশ দিতে হবে যেন দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের উপকার হয়। টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণে নীতিমালা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এরে আগে গত ৬ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা প্রণয়ন করতে রিট করা হয়। অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বিতভাবে এ রিট করেন। এতে বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এ তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রিট করেন তারা।

রিটে বাণিজ্যসচিব, খাদ্যসচিব, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়। গত ১ মার্চ থেকে তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়াতে তেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব রকার ফিরিয়ে দেয়ার পর বাজারে এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তেল আমদানি ও উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর দাবি, এখন বাজারে যে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। সেটি আগের দামের চেয়ে বেশিতে কিনে আনতে হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। দাম না বাড়ালে তাদেও পোষাবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্যবসায়ীদের এই যুক্তির বিষয়ে কিছু না বলে রোজার জন্য সয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে বাজারে সরবরাহ নিয়ে অস্থিতরা তৈরি হলে সরকার জুন পর্যন্ত তেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যদিও ভ্যাট প্রত্যাহার হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে রিটের শুনানিকালে হাইকোর্ট

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যারা কুক্ষিগত করে রেখে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। সামনে রমজান মাস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে পারে। এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ভোজ্য তেল সয়াবিনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে করা রিটের শুনানিকালে আইনজীবীর উদ্দেশ্যে গতকাল রোববার আদালত এ মন্তব্য করেন। পরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের তারিখ ধার্য করেন আজ (সোমবার)।
আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, শুধু সয়াবিন তেল নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের কথা রিটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এমন আদেশ দিতে হবে যেন দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের উপকার হয়। টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণে নীতিমালা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এরে আগে গত ৬ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা প্রণয়ন করতে রিট করা হয়। অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বিতভাবে এ রিট করেন। এতে বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এ তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রিট করেন তারা।

রিটে বাণিজ্যসচিব, খাদ্যসচিব, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়। গত ১ মার্চ থেকে তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়াতে তেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব রকার ফিরিয়ে দেয়ার পর বাজারে এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তেল আমদানি ও উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর দাবি, এখন বাজারে যে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। সেটি আগের দামের চেয়ে বেশিতে কিনে আনতে হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। দাম না বাড়ালে তাদেও পোষাবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্যবসায়ীদের এই যুক্তির বিষয়ে কিছু না বলে রোজার জন্য সয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে বাজারে সরবরাহ নিয়ে অস্থিতরা তৈরি হলে সরকার জুন পর্যন্ত তেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যদিও ভ্যাট প্রত্যাহার হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি।