এম লাদেনঃ কিশোরগঞ্জ জেলা মিঠামইন হাওর উপজেলার শেষ প্রান্তে বৈরাটি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রাম ও হবিগঞ্জ জেলার শেষ প্রান্তে কাকাইলছেও ইউনিউনের রসুলপুর গ্রামে রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ টমটম দিয়ে মালামাল চলাচল করে এই বাঁশের সাঁকো রাস্তা উপর ভরসা করে ।এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এলাকার এই নদীর মাঝে কাঁচা রাস্তা মেরামত করার জন্য এলাকার দাবি। জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই সেতু নিমার্নের। কিন্তু সরকারি ভাবে সেতুর না হওয়ায় ভাগ্য খুলছেন না গ্রামবাসীর। বর্ষায় পানির আসার সাথে সাথে পানিতে ডুবে ভেঙে যায় সাঁকো। এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি ।
বছরের পর বছর ব্যাপক দুর্ভোগ নিয়ে শতশত লোক নদী পারাপার হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ মিঠামইন উপজেলার ৭ গ্রামের মানুষ ।এক মাএ এই রাস্তা দুইটি উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়ন ও কাকাইলছেও ইউনিয়ন – এ দুই ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষকে নদী পার হয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয় এই নদীর উপর দিয়ে । স্বাধীনতার পর থেকে নদী পারাপারে ভরসা ছিল নৌকা। বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের কিছুটা সহজ পথ তৈরি করতে চাইলেও প্রতি বর্ষার পানিতে সাঁকো ভেঙে বিলীন হয়ে যায় । ফের নতুন করে সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হয় গ্রামবাসীকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৈরাটি ইউনিয়নের ৭টি ও কাকাইলছেও ইউনিয়নের ৩টিসহ ১০টি গ্রামের মানুষের ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয় মানুষকে।
নদী পার হয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
বাহেরচর গ্রামের মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুর অভাবে রোগীদের পড়তে হয় সবচেয়ে দুর্ভোগে। কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন এক ফসল ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে। এলাকাবাসী সকল শ্রেনীর লোক নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাসও দিয়ে আসছে । আজও আলোর মুখ দেখতে পারছেন । এলাকার মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি। বৈরাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন , শুধু আশ্বাসেই আটকে আছে সেতু। সবাই বলে সেতু হবে, কিন্তু হচ্ছে না।
আশ্বাস পেতে পেতে মানুষ এখন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। অনেকবার এলজিইডির প্রকৌশলিরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আসলেও সেতুর নিমার্নের কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, একটি সাঁকো দিয়ে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, নদীর উপরে এই বাঁশের সেতুটি প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। একনেকে অনুমোদন হলে সেতুর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে। সেতুটি হলে মানুষে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগে লাঘব হবে। মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।