হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে তালগাছ লাগানোর পাশাপাশি এবার ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এদেশের হাওরাঞ্চলসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩ জেলায় ছাউনি নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
ঢাকার কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত ‘বজ্রপাতজনিত জাতীয় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে জানমাল রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তৃতা করেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, এনামুল হক এমপি, সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড ঠান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. কবিরুল বাশার এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট এর রিসার্চ ফেলো প্রকৌশলী মোঃ মনির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে (পাইলট প্রকল্প) হাওর এলাকায় ১ কিলোমিটার পরপর ১ হাজার বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ছাউনির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর নির্মাণ করা হবে একেকটি শেল্টার, যাতে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ পেলেই মাঠের কৃষকসহ মানুষজন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারেন। প্রতিটি শেল্টারে লাইটার অ্যারেস্টার বসানো হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা কমে আসবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বজ্রপাত ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে এতে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সরকার তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর একটি হলো আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম। অর্থাৎ বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেবে সেই যন্ত্র। দ্বিতীয়ত হলো, বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ এবং তৃতীয়ত, জনসচেতনতা বাড়ানো।