ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীর বুক ও তীর দখল করে ইটভাটা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০১৬
  • ৩৫২ বার

মির্জাপুরে প্রভাবশালী মহল নদীর বুক ও তীর দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে অর্ধশত ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এসব অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তীর ও বুকে অবৈধ ইটভাটা গড়ে ওঠায় নদীর অস্তিত্ব ও নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে এবং সেইসঙ্গে সরকার প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নদীর গতিপথ বন্ধ ও নাব্যতা সংকটের ফলে এলাকার পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে।

মির্জাপুর উপজেলার উত্তরে বংশাই এবং দক্ষিণে লৌহজং নদীতে এসব অবৈধ দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। যমুনা ও ধলেশ্বরীর শাখা নদী মির্জাপুর উপজেলার বংশাই ও লৌহজং নদী। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দখল আর দূষণের কবলে পড়ে এই নদী দুটির অস্তিত্ব সংকট চলছে। সেইসঙ্গে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হচ্ছে।

গত কয়েক বছর ধরে বংশাই নদীর গোড়াইল, কোদালিয়া, গোড়াই, সৈয়দপুর, হাটুভাঙা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, বেলতৈল ও আজগানা এলাকায় বংশাই নদীর বুক ও তীর দখল করে ভ্যেকু, ট্রলার, ট্রাক দিয়ে বালু এবং মাটি ফেলে নদী ও জমি দখল করে যাচ্ছে। চলতি বছর ওই এলাকায় নদী দখলের প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার দাপটে এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে নদী দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছে।

দীর্ঘদিন ধরে নদী দখলের ফলে একসময়ের বড় নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। একই অবস্থা লৌহজং নদীর আশেপাশেও। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ বলেন, নদ-নদী এ দেশের জাতীয় সম্পদ। যারা নদী ও তার আশপাশ দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভাটা মালিকদের জরিমানা ও ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নদীর বুক ও তীর দখল করে ইটভাটা

আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০১৬

মির্জাপুরে প্রভাবশালী মহল নদীর বুক ও তীর দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে অর্ধশত ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এসব অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তীর ও বুকে অবৈধ ইটভাটা গড়ে ওঠায় নদীর অস্তিত্ব ও নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে এবং সেইসঙ্গে সরকার প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নদীর গতিপথ বন্ধ ও নাব্যতা সংকটের ফলে এলাকার পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে।

মির্জাপুর উপজেলার উত্তরে বংশাই এবং দক্ষিণে লৌহজং নদীতে এসব অবৈধ দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। যমুনা ও ধলেশ্বরীর শাখা নদী মির্জাপুর উপজেলার বংশাই ও লৌহজং নদী। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দখল আর দূষণের কবলে পড়ে এই নদী দুটির অস্তিত্ব সংকট চলছে। সেইসঙ্গে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হচ্ছে।

গত কয়েক বছর ধরে বংশাই নদীর গোড়াইল, কোদালিয়া, গোড়াই, সৈয়দপুর, হাটুভাঙা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, বেলতৈল ও আজগানা এলাকায় বংশাই নদীর বুক ও তীর দখল করে ভ্যেকু, ট্রলার, ট্রাক দিয়ে বালু এবং মাটি ফেলে নদী ও জমি দখল করে যাচ্ছে। চলতি বছর ওই এলাকায় নদী দখলের প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার দাপটে এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে নদী দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছে।

দীর্ঘদিন ধরে নদী দখলের ফলে একসময়ের বড় নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। একই অবস্থা লৌহজং নদীর আশেপাশেও। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ বলেন, নদ-নদী এ দেশের জাতীয় সম্পদ। যারা নদী ও তার আশপাশ দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভাটা মালিকদের জরিমানা ও ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।