ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাস উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে ৪৫ জেলা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
  • ১৪২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্তের পর আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। বিশেষ করে অন্যান্য জেলার চেয়ে সীমান্তের জেলায় সংক্রমণ শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। করোনার ‘হটস্পট’ রাজধানী ঢাকা ছাড়িয়ে দেশের ৪৫ টি জেলা এখন সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সীমান্তবর্তী ৩০ জেলার মধ্যে ২১টিই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে রাজশাহী বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। এ বিভাগের দুই জেলায় শনাক্তের হার ৪২ শতাংশের বেশি। ‘বি’ ক্যাটাগরির ১৪টি জেলায় শনাক্তের হার ২০ থেকে ২৯ শতাংশের মধ্যে এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ২১ জেলায় শনাক্তের হার ১০ থেকে ১৯ শতাংশ। এত দিন সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ঢাকা এখন রয়েছে মধ্যম ঝুঁকিতে। গত এক সপ্তাহে এখানে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ঈদে অনেক মানুষ ঢাকা থেকে নিজ নিজ গ্রাম এলাকায় গিয়েছিলেন। লোকসমাগমও আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখছেন। তারা ঈদের আগেই এই শঙ্কার কথা বলেছিলেন।

এর সঙ্গে করোনার ভারতীয় ধরনের (ভেরিয়েন্ট) কোনো যুক্ততা আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অবশ্য এরই মধ্যে দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। ঈদের পর সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তুলনামূলক সংক্রমণও বেশি বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আক্রান্তদের কারও কারও সম্প্রতি ভারত সফরের ইতিহাস আছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫ জেলা-

‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত সীমান্তবর্তী ৯ জেলা সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নড়াইল, রাজশাহী, নাটোর, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও লালমনিরহাটে শনাক্তের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। সীমান্ত এলাকার বাইরে পিরোজপুর জেলায় শনাক্তের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা বাগেরহাট, জামালপুর, ফরিদপুর, নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রাজবাড়ী, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, সিলেট, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম- এই ১৪ জেলায় শনাক্তের হার ২০ থেকে ২৯ শতাংশ।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা চাঁদপুর, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, ফেনী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ঝালকাঠি, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, বগুড়া, শেরপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর, নীলফামারী, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, গাজীপুর, লক্ষ্মীপুর ও হবিগঞ্জ- এই ২১ জেলায় শনাক্তের হার ১০ থেকে ১৯ শতাংশ।

ঊর্ধ্বমুখী এ সংক্রমণে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামগ্রিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যেখানে শনাক্তের হার বেশি সেখানে যাতায়াত-চলাচল সীমিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে প্রান্তিক মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

করোনাভাইরাস উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে ৪৫ জেলা

আপডেট টাইম : ১০:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্তের পর আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। বিশেষ করে অন্যান্য জেলার চেয়ে সীমান্তের জেলায় সংক্রমণ শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। করোনার ‘হটস্পট’ রাজধানী ঢাকা ছাড়িয়ে দেশের ৪৫ টি জেলা এখন সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সীমান্তবর্তী ৩০ জেলার মধ্যে ২১টিই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে রাজশাহী বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। এ বিভাগের দুই জেলায় শনাক্তের হার ৪২ শতাংশের বেশি। ‘বি’ ক্যাটাগরির ১৪টি জেলায় শনাক্তের হার ২০ থেকে ২৯ শতাংশের মধ্যে এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ২১ জেলায় শনাক্তের হার ১০ থেকে ১৯ শতাংশ। এত দিন সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ঢাকা এখন রয়েছে মধ্যম ঝুঁকিতে। গত এক সপ্তাহে এখানে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ঈদে অনেক মানুষ ঢাকা থেকে নিজ নিজ গ্রাম এলাকায় গিয়েছিলেন। লোকসমাগমও আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখছেন। তারা ঈদের আগেই এই শঙ্কার কথা বলেছিলেন।

এর সঙ্গে করোনার ভারতীয় ধরনের (ভেরিয়েন্ট) কোনো যুক্ততা আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অবশ্য এরই মধ্যে দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। ঈদের পর সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তুলনামূলক সংক্রমণও বেশি বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আক্রান্তদের কারও কারও সম্প্রতি ভারত সফরের ইতিহাস আছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫ জেলা-

‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত সীমান্তবর্তী ৯ জেলা সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নড়াইল, রাজশাহী, নাটোর, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও লালমনিরহাটে শনাক্তের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। সীমান্ত এলাকার বাইরে পিরোজপুর জেলায় শনাক্তের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা বাগেরহাট, জামালপুর, ফরিদপুর, নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রাজবাড়ী, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, সিলেট, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম- এই ১৪ জেলায় শনাক্তের হার ২০ থেকে ২৯ শতাংশ।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা চাঁদপুর, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, ফেনী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ঝালকাঠি, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, বগুড়া, শেরপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর, নীলফামারী, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, গাজীপুর, লক্ষ্মীপুর ও হবিগঞ্জ- এই ২১ জেলায় শনাক্তের হার ১০ থেকে ১৯ শতাংশ।

ঊর্ধ্বমুখী এ সংক্রমণে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামগ্রিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যেখানে শনাক্তের হার বেশি সেখানে যাতায়াত-চলাচল সীমিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে প্রান্তিক মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।