হাওর বার্তা ডেস্কঃ শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে অগ্রগতি সাধিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে। সেজন্য সরকারের পাশাপাশি শ্রমজীবীদের পাশে মালিকদেরও দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শনিবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এক বাণী এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষ, মুজিব বর্ষে গড়ব দেশ’।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। শ্রমিক-মালিক পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, করোনা সংক্রমণ জনিত মহামারিতে বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছে। ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণ কাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তাই কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যোগ করেন রাষ্ট্রপতি।
শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু।
আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতার উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ছয়টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যকে উদ্বৃত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে, শোষক আর অন্যদিকে, শোষিত-আমি শোষিতের পক্ষে। ” তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হতে হবে। এ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিক-মালিক সমপ্রীতি দেশের উন্নয়নের পথকে তরান্বিত করবে।