ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
  • ১৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। জাতির পিতার সময়োচিত ও যথাযথ সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কলকারখানাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা।

বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেই সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এই অর্জনে এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অবদান অপরিসীম।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস এমন একটি মুহূর্তে পালিত হচ্ছে, যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারির ফলে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য ‍সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। শ্রমিক-কর্মচারীসহ সকল নাগরিকের সার্বিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। দেশে শিল্প-কারখানা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরো বিস্তৃত করার নিমিত্তে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহ নিশ্চিত করাসহ উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ ও সকল অংশীজনের সম্মিলিত উদ্যোগের বাস্তবায়ন আবশ্যক বলে আমি মনে করি।

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রতিটি শ্রমিকের আইনগত অধিকার। বিষয়টিকে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় সংস্কৃতি হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। আমি কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রমিক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১’ উদযাপন সফল হোক – এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রদান :
প্রতিবারের ন্যায় এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার’- সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু, শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিসহ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন ও হালনাগাদ করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করেছে।

আমাদের উদ্যোগে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট নির্মাণ- এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের চিকিৎসায়, তাঁদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি।

এছাড়া ‘কর্মক্ষেত্রে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রভাবসৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা শিল্প, কৃষিসহ মোট ২০টি খাতের অনুকূলে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। আমাদের এসব উদ্যোগের ফলে কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকদের জীবনমানের উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটছে।

আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সে লক্ষ্য অর্জনে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করার কোন বিকল্প নেই। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।

আমি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস -২০২১’ – এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী

আপডেট টাইম : ১২:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। জাতির পিতার সময়োচিত ও যথাযথ সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কলকারখানাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা।

বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেই সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এই অর্জনে এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অবদান অপরিসীম।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস এমন একটি মুহূর্তে পালিত হচ্ছে, যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারির ফলে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য ‍সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। শ্রমিক-কর্মচারীসহ সকল নাগরিকের সার্বিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। দেশে শিল্প-কারখানা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরো বিস্তৃত করার নিমিত্তে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহ নিশ্চিত করাসহ উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ ও সকল অংশীজনের সম্মিলিত উদ্যোগের বাস্তবায়ন আবশ্যক বলে আমি মনে করি।

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রতিটি শ্রমিকের আইনগত অধিকার। বিষয়টিকে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় সংস্কৃতি হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। আমি কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রমিক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১’ উদযাপন সফল হোক – এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রদান :
প্রতিবারের ন্যায় এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার’- সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু, শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিসহ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন ও হালনাগাদ করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করেছে।

আমাদের উদ্যোগে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট নির্মাণ- এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের চিকিৎসায়, তাঁদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি।

এছাড়া ‘কর্মক্ষেত্রে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রভাবসৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা শিল্প, কৃষিসহ মোট ২০টি খাতের অনুকূলে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। আমাদের এসব উদ্যোগের ফলে কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকদের জীবনমানের উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটছে।

আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সে লক্ষ্য অর্জনে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করার কোন বিকল্প নেই। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।

আমি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস -২০২১’ – এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।