মিঠামইন উপজেলার বৈরাটী গ্রামের মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা। মাঠের পাকা ধান কেটে তুলতে হবে গোলায়। তাই ফসলের খেতে ধান কাটার ধুম পড়েছে। চারিদিকে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ।
মফিজ নামে এক কৃষক বলেন, আমাদে্র দম ফেলার মত সময় নেই। নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করতি হচ্ছে।
তিনি জানান, মাঠজুড়ে ধান কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। কয়েক বছর ধরে গ্রামে আর ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যায় না। যে কারণে অনেক গৃহিণীরও মাঠে এসে ধান কাটতে হচ্ছে।
তারপরও যা হয়েছে তার যেন ন্যায্যমূল্য পায় কৃষকরা সেই দাবি জানান তিনি।
বরুণ পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। ফলন মোটামুটি ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কিন্তু ফড়িয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের তৎপরতায় ফসলের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।
তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েক বছর ধরে তারা ধানের ন্যায্যমূল্য পান না।
তিনি জানান, সরকার আমন ধানের দাম আগেভাগে নির্ধারণ করে দিলে কৃষক ভালো দাম পাবেন। গত কয় বছর তারা আমনের ন্যায্যমূল্য পাননি। আশা করছেন এবার ন্যায্যমূল্য পাবেন।
তবে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর আঘাত এবং কারণে রূপসার জাবুসা, বটিয়াঘাটার খারাবাদ, ডুমুরিয়া ও দাকোপসহ বিভিন্ন এলাকায় আমনে পোকার আক্রমণে ধান নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পোকার আক্রমণ আর বুলবুলের আঘাতের পরও এবার আমনের বাম্পার ফলনের সুবাস পাচ্ছেন কৃষকরা।কৃষকরা চাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি করেধান কেটে গোলায় উঠাতে ধোবাজোরা গ্রামের কৃষক মাহাতাব মেম্বার জানান এবার তিনি চমক পুর হাওরে ৪০ একর জমিতে ইরি বরো ধান করেছেন।
৫দিন আগে তিনি ৭ কের জমির বি ২৮ জাতের ধান কেটেছেন। ধানের মূল্য এবার ভালোই পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের মুখে মুখে ফুটেছে খাশি।