ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতে ও কুয়াশার কারণে ধানের চারা রোপণে বেশ অসুবিধায় পড়েছে, কিশোরগঞ্জের চাষিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দেশের উত্তর জনপদের জেলা কিশোরগঞ্জ

। বর্তমানে ইরি-বোরোর আবাদ মৌসুমে ব্যস্ত  সময় কাটাচ্ছে এ জেলার কৃষকরা।

তবে প্রচণ্ড শীত ও  কুয়াশার কারণে ধানের চারা রোপণে বেশ অসুবিধায় পড়েছে তারা। দ্রুত আবহাওয়া ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছেন চাষিরা। এ বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ধান চাষে অনেকটা আগ্রহ বেড়েছে। ফলে তাদের অধিকাংশ আবাদি জমিতে ধান চাষ করতে চান তারা।

মিঠামইন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ২৩৫ হেক্টর আবাদি জমি। ইতোমধ্যে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাকি জমিতে কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারবেন বলে তাদের ধারণা।

মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি গ্রামের কৃষক মফিজ সরকার জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে তিনি তার ৭ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করবেন। জমি প্রস্তুত করে তাঁর অর্ধেক জমিতে চারা রোপণ করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। হালকা বাতাস ও তীব্র শীত থাকায় মানুষ ঠিকমতো জমিতে কাজ করতে পারছেন না।

গফুর আরো জানান, বেশি শীতে চারা রোপণ করলে পচে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ফলে কিছুটা বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাষিরা চারা রোপণে পিছিয়ে পড়েছে। একদিকে জমি প্রস্তুত করে চারা উঠিয়ে ফের জমিতে চারা রোপণ করা এমন শীতে কৃষকের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চারা রোপণ কাজের শ্রমিক সুলমান জানান, সকাল বেলা ঠাণ্ডার কারণে জমিতে চারা রোপণ কাজে যাওয়া যায় না। বর্তমানে করোনার জন্য মানুষ ঠাণ্ডা দেখে ভয় পাচ্ছে।

ইরি-বোরো মৌসুমে  প্রতিবছর এ সময়ে এমন আবহাওয়াই বিরাজ করে। এ ধরনের আবহাওয়ায় জমিতে চারা রোপণ করলে তেমন কোন অসুবিধা হবে না।  বর্তমানে কৃষক ধানের দাম ভালো পাওয়ায় দান চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে। চলতি মৌমুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পরিমান জমিতে ধানের আবাদ হবে বলে তাদের ধারণা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

তীব্র শীতে ও কুয়াশার কারণে ধানের চারা রোপণে বেশ অসুবিধায় পড়েছে, কিশোরগঞ্জের চাষিরা

আপডেট টাইম : ১০:০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দেশের উত্তর জনপদের জেলা কিশোরগঞ্জ

। বর্তমানে ইরি-বোরোর আবাদ মৌসুমে ব্যস্ত  সময় কাটাচ্ছে এ জেলার কৃষকরা।

তবে প্রচণ্ড শীত ও  কুয়াশার কারণে ধানের চারা রোপণে বেশ অসুবিধায় পড়েছে তারা। দ্রুত আবহাওয়া ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছেন চাষিরা। এ বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ধান চাষে অনেকটা আগ্রহ বেড়েছে। ফলে তাদের অধিকাংশ আবাদি জমিতে ধান চাষ করতে চান তারা।

মিঠামইন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ২৩৫ হেক্টর আবাদি জমি। ইতোমধ্যে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাকি জমিতে কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারবেন বলে তাদের ধারণা।

মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি গ্রামের কৃষক মফিজ সরকার জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে তিনি তার ৭ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করবেন। জমি প্রস্তুত করে তাঁর অর্ধেক জমিতে চারা রোপণ করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। হালকা বাতাস ও তীব্র শীত থাকায় মানুষ ঠিকমতো জমিতে কাজ করতে পারছেন না।

গফুর আরো জানান, বেশি শীতে চারা রোপণ করলে পচে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ফলে কিছুটা বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাষিরা চারা রোপণে পিছিয়ে পড়েছে। একদিকে জমি প্রস্তুত করে চারা উঠিয়ে ফের জমিতে চারা রোপণ করা এমন শীতে কৃষকের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চারা রোপণ কাজের শ্রমিক সুলমান জানান, সকাল বেলা ঠাণ্ডার কারণে জমিতে চারা রোপণ কাজে যাওয়া যায় না। বর্তমানে করোনার জন্য মানুষ ঠাণ্ডা দেখে ভয় পাচ্ছে।

ইরি-বোরো মৌসুমে  প্রতিবছর এ সময়ে এমন আবহাওয়াই বিরাজ করে। এ ধরনের আবহাওয়ায় জমিতে চারা রোপণ করলে তেমন কোন অসুবিধা হবে না।  বর্তমানে কৃষক ধানের দাম ভালো পাওয়ায় দান চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে। চলতি মৌমুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পরিমান জমিতে ধানের আবাদ হবে বলে তাদের ধারণা।