ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

মাঠ ভরা সরিষা ফুলে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১
  • ২০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের দিগন্ত জুড়ে মাঠ সেজেছে সরিষার হলুদ ফুলে। মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। মাঠ ভরা এ হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। গেল ছয় দফা বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল আর চরাঞ্চলের আবাদী ফসল। বন্যা পরবর্তী এসব এলাকায় চাষ হয়েছে সরিষা।

জেলার ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, সংকোষসহ ১৬টি নদ-নদীর চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে চাষ হওয়া এসব সরিষা অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক পরিচর্যায় মাঠ ভরে উঠেছে হলুদ ফুলের সমারোহে। দেখে মনে হবে এ যেন হুলুদ সমুদ্র। মৌ মৌ ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে আসছে মধু আহরণে মৌমাছি। সরিষার এমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

হরিপুরে সরিষার ফুলের ঢাকা পড়েছে বিস্তৃত প্রকৃতি | BDJAHAN

উন্নত জাতের বারি-১৪ এবং দেশী জাতের বীজে চাষ হয়েছে এবার। ইরি চাষের আগে স্বল্প মেয়াদী এ ফসল ফলিয়ে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছেন চাষিরা। বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করে ৪/৫ মণ সরিষার ফলন পাওয়ার আশা কৃষকের। মণ প্রতি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন সরিষা চাষিরা। পানি শুকানোর পরপরই সরিষার আবাদ শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। সরিষা ফলন তুলে ক্ষেতে ইরি চাষ শুরু করবেন বলে জানান কৃষকরা।

হলুদ রঙের ফুলে ছেঁয়ে গেছে মান্দার সরিষা ক্ষেত

চরাঞ্চলের কৃষক আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সাইফুল মিয়া জানান, সরিষার তেল ভোজ্য, খৈল গবাদি পশুর খাবার এবং সরিষার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবুজ পাতা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সরিষার শাক খেতে বেশ সুস্বাদু। এছাড়া সরিষার ক্ষেতে এসময় বতুয়া শাকও পাওয়া যায়। দুই মিলে পরিবারের শাকের পুষ্টি চাহিদা মিটে যায় প্রান্তিক জনপদের সাধারণ মানুষের। সরিষার শাকে আছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। সরিষার শাকে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিজেন, যা ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধ করে। বতুয়া শাক হজম শক্তি বাড়ায়, কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে, মুখের ঘা সারায় এবং আগুন কিংবা গরম পানিতে ত্বক পুড়ে গেলে বতুয়ার পাতার প্রলেপ দিলে নিরাময় হয়।

সরিষার আশানুরূপ ফলন হওয়ার আশা ব্যক্ত করে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুরুল হক বলেন, কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের ১৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের বারি-১৪ এবং দেশী জাতের সরিষার চাষ হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

মাঠ ভরা সরিষা ফুলে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

আপডেট টাইম : ০৪:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের দিগন্ত জুড়ে মাঠ সেজেছে সরিষার হলুদ ফুলে। মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। মাঠ ভরা এ হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। গেল ছয় দফা বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল আর চরাঞ্চলের আবাদী ফসল। বন্যা পরবর্তী এসব এলাকায় চাষ হয়েছে সরিষা।

জেলার ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, সংকোষসহ ১৬টি নদ-নদীর চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে চাষ হওয়া এসব সরিষা অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক পরিচর্যায় মাঠ ভরে উঠেছে হলুদ ফুলের সমারোহে। দেখে মনে হবে এ যেন হুলুদ সমুদ্র। মৌ মৌ ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে আসছে মধু আহরণে মৌমাছি। সরিষার এমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

হরিপুরে সরিষার ফুলের ঢাকা পড়েছে বিস্তৃত প্রকৃতি | BDJAHAN

উন্নত জাতের বারি-১৪ এবং দেশী জাতের বীজে চাষ হয়েছে এবার। ইরি চাষের আগে স্বল্প মেয়াদী এ ফসল ফলিয়ে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছেন চাষিরা। বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করে ৪/৫ মণ সরিষার ফলন পাওয়ার আশা কৃষকের। মণ প্রতি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন সরিষা চাষিরা। পানি শুকানোর পরপরই সরিষার আবাদ শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। সরিষা ফলন তুলে ক্ষেতে ইরি চাষ শুরু করবেন বলে জানান কৃষকরা।

হলুদ রঙের ফুলে ছেঁয়ে গেছে মান্দার সরিষা ক্ষেত

চরাঞ্চলের কৃষক আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সাইফুল মিয়া জানান, সরিষার তেল ভোজ্য, খৈল গবাদি পশুর খাবার এবং সরিষার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবুজ পাতা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সরিষার শাক খেতে বেশ সুস্বাদু। এছাড়া সরিষার ক্ষেতে এসময় বতুয়া শাকও পাওয়া যায়। দুই মিলে পরিবারের শাকের পুষ্টি চাহিদা মিটে যায় প্রান্তিক জনপদের সাধারণ মানুষের। সরিষার শাকে আছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। সরিষার শাকে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিজেন, যা ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধ করে। বতুয়া শাক হজম শক্তি বাড়ায়, কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে, মুখের ঘা সারায় এবং আগুন কিংবা গরম পানিতে ত্বক পুড়ে গেলে বতুয়ার পাতার প্রলেপ দিলে নিরাময় হয়।

সরিষার আশানুরূপ ফলন হওয়ার আশা ব্যক্ত করে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুরুল হক বলেন, কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের ১৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের বারি-১৪ এবং দেশী জাতের সরিষার চাষ হয়েছে।