পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আড়াই হাজার স্কুল শিক্ষককে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপিত তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ পৃথক পৃথক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আমিরুল ইসলাম ও শেখ মোহম্মদ মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমাতুর করিম।
২০১১ সালের আগস্ট মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় সরকার।
বাকিদের পুল শিক্ষক হিসেবে ৭ দিন থেকে ৬ মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয় (পুল শিক্ষকরা প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানী পান, তাদের কোনো ছুটি নেই এবং তাদের নিয়োগ সাময়িক)। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সহকারী শিক্ষক পদে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন পুল শিক্ষকরা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ১৯ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বুধবার এ রুলের নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট।