ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা পঁচাশিতে রাবেয়া খাতুন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৬৩ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৈশোরকাল থেকেই রাবেয়া খাতুনের লেখা পড়ছি। যেমন পড়েছি শিশুসাহিত্য, তেমনি গল্প-উপন্যাস! ধীরে ধীরে অনুভব করেছি, বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের ইতিহাসে তার স্থান উল্লেখযোগ্য। ক্রমেই বুঝেছি, তিনি বাংলাদেশের আধুনিক সাহিত্যের গঠনযুগের অগ্রবর্তী লেখক। তার দীর্ঘ সময়ের সাহিত্যযাত্রার সংক্ষিপ্ত পরিচয় অল্প কথায় দিতে হলে এমনটিই বলতে হবে।

১৯৪৭ সালে ঢাকা বিভক্ত বাংলার এক অংশের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। সেই কেন্দ্র থেকে মানুষের জীবনযাত্রাকে অবলম্বন করে গড়ে ওঠা সাহিত্যের প্রথম যুগের তিনি অন্যতম প্রতিভূ। তাদের প্রজন্মের আগে বাংলা ভাষার আধুনিক সাহিত্যের লেখকদের প্রতিষ্ঠা ঘটেছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে। এমনকি ১৯৪৭-উত্তর বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পাঠকরাও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বইয়ের ওপরই প্রধানত নির্ভর করতেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাবেয়া খাতুন ও তার সমসাময়িক কয়েকজন লেখক ঢাকাকেন্দ্রিক জীবনযাত্রাকে অবলম্বন করে বাংলাদেশের সাহিত্যের অবয়ব গড়ে তুলেছেন।

রাবেয়া খাতুনের লেখায় যেমন আছে পুরান ঢাকার নাগরিক জীবন, তেমনি আছে গ্রামীণ সমাজের পরিপ্রেক্ষিত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাংলাদেশে যে নতুন মধ্যবিত্ত সমাজ গড়ে উঠছিল, তার সামাজিক মনস্তত্ত্বও রাবেয়া খাতুনের সাহিত্যে সুলভ। তার সাহিত্যে একদিকে প্রাধান্য পেয়েছে বাঙালি জাতির জাগরণের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ; অন্যদিকে প্রাধান্য পেয়েছে দেশের সমাজ পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক সংকটাপন্ন নারীর আত্মউন্মোচনের সংগ্রাম। নারীর জীবন-সংগ্রাম তার উপজীব্য হলেও সচেতনভাবে তিনি নিজেকে যেন নারীবাদী হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চাননি। নারীর সংকট ও সংগ্রামকে কেবল ‘নারীবাদী’ দৃষ্টি থেকে না দেখে তিনি দেখতে চেয়েছেন মানবিক সংকট ও সম্ভাবনার সামগ্রিক দিক হিসেবে।

দেশে সমালোচনা-সাহিত্যের সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় রাবেয়া খাতুনদের মতো লেখকদের যথার্থ মূল্যায়ন হয়নি। তিনি যে সময় নারীজীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে লিখে গেছেন, তা সমকালীন ‘নারীবাদী’ প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির অনুরূপ ছিল না। ফলে যে কারণে তার খ্যাতি আরও উজ্জ্বল হওয়ার কথা, তা হয়নি। দেশে সাহিত্য নিয়ে যে আলোচনা হয়, তার বেশিরভাগ ভাসাভাসা ও পরিপ্রেক্ষিতবিহীন। আমাদের জাতীয় জীবনে সর্বদিকবিস্তৃত যে রূপান্তর ঘটছে, তা হয়তো পাঠকসমাজেও প্রভাব রেখেছে। কারণ যে জীবনজিজ্ঞাসার জবাব খোঁজার জন্য পাঠকরা সাহিত্যের আশ্রয় নেবেন, সে জিজ্ঞাসু পাঠকসমাজ বাংলাদেশে গড়ে ওঠার অবকাশ ছিল না দেশের সমাজ রূপান্তরের গতিশীলতায়!

ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রচুর গল্প-উপন্যাস-শিশুসাহিত্য রচনা করা সত্ত্বেও আমাদের সামাজিক মননশীলতায় শৃঙ্খলা না থাকায় বিদ্যায়তনে কখনও কখনও তার লেখালেখির সপ্রশংস উল্লেখ ঘটলেও নির্মোহ মূল্যায়ন অব্যাহত থাকেনি। তা না হলে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মধুমতী’তে গ্রাম ও নগরের সম্পর্ক সম্বন্ধীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে যে লেখক সামলেছেন, তিনিই কী করে ‘অনন্ত অন্বেষা’র রোমান্টিক ঘটনা পরম্পরাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে পেরেছেন কিংবা বেশ পরে পরিণত বয়সে লেখা ‘শঙ্খ সকাল প্রকৃতি’ উপন্যাসে জীবনজিজ্ঞাসাকে তিনি কী করে আধুনিকতার জঙ্গমতার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্ততর দৃষ্টিতে দেখেও শনাক্ত করতে পেরেছেন চিরায়ত মানবিক বোধ দিয়ে, তা এখনও কেউ পরীক্ষা করে কেন দেখতে পারেননি।

ছোটগল্প রচনায় তিনি বহুমাত্রিক। অসংখ্য ছোটগল্প লিখলেও বাংলাদেশের সমালোচনা-সাহিত্য উন্নত নয় বলে তার ছোটগল্পের ভুবনকে ভালোভাবে পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। ফলে তার ছোটগল্পের ভাষার সরলতা নিয়েও তরল হয়ে না পড়া, আবেগবাহুল্য ঝেড়ে নির্মোহ থাকতে পারা এবং চরিত্রের বৈচিত্র্যের মধ্যেও সাদা-কালোর প্রচ্ছায়াকে ধারণ করে রাখতে পারার সামর্থ্যকে কেন অনুধাবনের ভাষাপ্রকাশ উল্লেখযোগ্যভাবে পাওয়া যায় না? দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিক লেখালেখিতে যে বিস্তৃত জীবনাভিজ্ঞতার পরিচয় তার সাহিত্যে রয়েছে, তা অনেক দিন দেশের সাহিত্য-পাঠকদের রসদ জোগাবে।

শিশুসাহিত্য রচনায় তার মমতাময় হৃদয়, সমাজলগ্নতা, মুক্তিযুদ্ধের মর্মভাব সর্বোপরি দেশপ্রেমের মূল্যবোধ প্রতিফলিত। কেবল যদি তার শিশুসাহিত্যের সমগ্রকেই তার সৃষ্টির সবটা ধরা হয়, তাহলেও তাকে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্যিক বলে অনুভব করা যাবে। তার শিশুসাহিত্যে বাংলার চিরকালের লোকঐহিত্য যেমন প্রতিফলিত, তেমনি বাঙ্ময় গ্রামজীবন থেকে আধুনিক নগরজীবনে উত্তরণমান সময়ের শিশুমনস্তত্ত্ব।

যৌবনে যে ভ্রমণপিপাসা অতৃপ্তি নিয়ে জেগে উঠেছিল, পরিণত বয়সে তা হয়ে উঠেছিল আনন্দিত অভিজ্ঞতার উৎস। সে উৎসের অভিজ্ঞতা থেকে প্রকাশ ঘটতে লাগল তার একের পর এক ভ্রমণসাহিত্য। দু-একটি দেশ নয়, এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তার সেসব রচনা।

২৭ ডিসেম্বর রাবেয়া খাতুন পঁচাশিতে পড়ছেন। যারা তার জীবন সম্পর্কে সামান্য অবহিত, তারা জানেন- জীবনের চুরাশি বছর পূর্ণ করতে ষাট বছরেরও বেশি সময়ই পার করেছেন জীবনসংগ্রামের সমান্তরালে সাহিত্যসংগ্রামে। সে সংগ্রাম ছিল ইহজাগতিকতার যাত্রাপথের পথিক হিসেবে মুক্তমনের এবং মানবিক শুশ্রূষার জন্য। তার সেই ধারার সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তার দ্বারা স্পৃষ্ট এবং তার যাত্রাপথের অনুগামী হিসেবেও জন্মদিনে তার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আহমাদ মাযহার : প্রাবন্ধিক, ছড়াকার ও গবেষক

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জন্মদিনের শুভেচ্ছা পঁচাশিতে রাবেয়া খাতুন

আপডেট টাইম : ১০:৫১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৈশোরকাল থেকেই রাবেয়া খাতুনের লেখা পড়ছি। যেমন পড়েছি শিশুসাহিত্য, তেমনি গল্প-উপন্যাস! ধীরে ধীরে অনুভব করেছি, বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের ইতিহাসে তার স্থান উল্লেখযোগ্য। ক্রমেই বুঝেছি, তিনি বাংলাদেশের আধুনিক সাহিত্যের গঠনযুগের অগ্রবর্তী লেখক। তার দীর্ঘ সময়ের সাহিত্যযাত্রার সংক্ষিপ্ত পরিচয় অল্প কথায় দিতে হলে এমনটিই বলতে হবে।

১৯৪৭ সালে ঢাকা বিভক্ত বাংলার এক অংশের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। সেই কেন্দ্র থেকে মানুষের জীবনযাত্রাকে অবলম্বন করে গড়ে ওঠা সাহিত্যের প্রথম যুগের তিনি অন্যতম প্রতিভূ। তাদের প্রজন্মের আগে বাংলা ভাষার আধুনিক সাহিত্যের লেখকদের প্রতিষ্ঠা ঘটেছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে। এমনকি ১৯৪৭-উত্তর বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পাঠকরাও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বইয়ের ওপরই প্রধানত নির্ভর করতেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাবেয়া খাতুন ও তার সমসাময়িক কয়েকজন লেখক ঢাকাকেন্দ্রিক জীবনযাত্রাকে অবলম্বন করে বাংলাদেশের সাহিত্যের অবয়ব গড়ে তুলেছেন।

রাবেয়া খাতুনের লেখায় যেমন আছে পুরান ঢাকার নাগরিক জীবন, তেমনি আছে গ্রামীণ সমাজের পরিপ্রেক্ষিত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাংলাদেশে যে নতুন মধ্যবিত্ত সমাজ গড়ে উঠছিল, তার সামাজিক মনস্তত্ত্বও রাবেয়া খাতুনের সাহিত্যে সুলভ। তার সাহিত্যে একদিকে প্রাধান্য পেয়েছে বাঙালি জাতির জাগরণের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ; অন্যদিকে প্রাধান্য পেয়েছে দেশের সমাজ পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক সংকটাপন্ন নারীর আত্মউন্মোচনের সংগ্রাম। নারীর জীবন-সংগ্রাম তার উপজীব্য হলেও সচেতনভাবে তিনি নিজেকে যেন নারীবাদী হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চাননি। নারীর সংকট ও সংগ্রামকে কেবল ‘নারীবাদী’ দৃষ্টি থেকে না দেখে তিনি দেখতে চেয়েছেন মানবিক সংকট ও সম্ভাবনার সামগ্রিক দিক হিসেবে।

দেশে সমালোচনা-সাহিত্যের সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় রাবেয়া খাতুনদের মতো লেখকদের যথার্থ মূল্যায়ন হয়নি। তিনি যে সময় নারীজীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে লিখে গেছেন, তা সমকালীন ‘নারীবাদী’ প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির অনুরূপ ছিল না। ফলে যে কারণে তার খ্যাতি আরও উজ্জ্বল হওয়ার কথা, তা হয়নি। দেশে সাহিত্য নিয়ে যে আলোচনা হয়, তার বেশিরভাগ ভাসাভাসা ও পরিপ্রেক্ষিতবিহীন। আমাদের জাতীয় জীবনে সর্বদিকবিস্তৃত যে রূপান্তর ঘটছে, তা হয়তো পাঠকসমাজেও প্রভাব রেখেছে। কারণ যে জীবনজিজ্ঞাসার জবাব খোঁজার জন্য পাঠকরা সাহিত্যের আশ্রয় নেবেন, সে জিজ্ঞাসু পাঠকসমাজ বাংলাদেশে গড়ে ওঠার অবকাশ ছিল না দেশের সমাজ রূপান্তরের গতিশীলতায়!

ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রচুর গল্প-উপন্যাস-শিশুসাহিত্য রচনা করা সত্ত্বেও আমাদের সামাজিক মননশীলতায় শৃঙ্খলা না থাকায় বিদ্যায়তনে কখনও কখনও তার লেখালেখির সপ্রশংস উল্লেখ ঘটলেও নির্মোহ মূল্যায়ন অব্যাহত থাকেনি। তা না হলে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মধুমতী’তে গ্রাম ও নগরের সম্পর্ক সম্বন্ধীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে যে লেখক সামলেছেন, তিনিই কী করে ‘অনন্ত অন্বেষা’র রোমান্টিক ঘটনা পরম্পরাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে পেরেছেন কিংবা বেশ পরে পরিণত বয়সে লেখা ‘শঙ্খ সকাল প্রকৃতি’ উপন্যাসে জীবনজিজ্ঞাসাকে তিনি কী করে আধুনিকতার জঙ্গমতার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্ততর দৃষ্টিতে দেখেও শনাক্ত করতে পেরেছেন চিরায়ত মানবিক বোধ দিয়ে, তা এখনও কেউ পরীক্ষা করে কেন দেখতে পারেননি।

ছোটগল্প রচনায় তিনি বহুমাত্রিক। অসংখ্য ছোটগল্প লিখলেও বাংলাদেশের সমালোচনা-সাহিত্য উন্নত নয় বলে তার ছোটগল্পের ভুবনকে ভালোভাবে পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। ফলে তার ছোটগল্পের ভাষার সরলতা নিয়েও তরল হয়ে না পড়া, আবেগবাহুল্য ঝেড়ে নির্মোহ থাকতে পারা এবং চরিত্রের বৈচিত্র্যের মধ্যেও সাদা-কালোর প্রচ্ছায়াকে ধারণ করে রাখতে পারার সামর্থ্যকে কেন অনুধাবনের ভাষাপ্রকাশ উল্লেখযোগ্যভাবে পাওয়া যায় না? দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিক লেখালেখিতে যে বিস্তৃত জীবনাভিজ্ঞতার পরিচয় তার সাহিত্যে রয়েছে, তা অনেক দিন দেশের সাহিত্য-পাঠকদের রসদ জোগাবে।

শিশুসাহিত্য রচনায় তার মমতাময় হৃদয়, সমাজলগ্নতা, মুক্তিযুদ্ধের মর্মভাব সর্বোপরি দেশপ্রেমের মূল্যবোধ প্রতিফলিত। কেবল যদি তার শিশুসাহিত্যের সমগ্রকেই তার সৃষ্টির সবটা ধরা হয়, তাহলেও তাকে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্যিক বলে অনুভব করা যাবে। তার শিশুসাহিত্যে বাংলার চিরকালের লোকঐহিত্য যেমন প্রতিফলিত, তেমনি বাঙ্ময় গ্রামজীবন থেকে আধুনিক নগরজীবনে উত্তরণমান সময়ের শিশুমনস্তত্ত্ব।

যৌবনে যে ভ্রমণপিপাসা অতৃপ্তি নিয়ে জেগে উঠেছিল, পরিণত বয়সে তা হয়ে উঠেছিল আনন্দিত অভিজ্ঞতার উৎস। সে উৎসের অভিজ্ঞতা থেকে প্রকাশ ঘটতে লাগল তার একের পর এক ভ্রমণসাহিত্য। দু-একটি দেশ নয়, এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তার সেসব রচনা।

২৭ ডিসেম্বর রাবেয়া খাতুন পঁচাশিতে পড়ছেন। যারা তার জীবন সম্পর্কে সামান্য অবহিত, তারা জানেন- জীবনের চুরাশি বছর পূর্ণ করতে ষাট বছরেরও বেশি সময়ই পার করেছেন জীবনসংগ্রামের সমান্তরালে সাহিত্যসংগ্রামে। সে সংগ্রাম ছিল ইহজাগতিকতার যাত্রাপথের পথিক হিসেবে মুক্তমনের এবং মানবিক শুশ্রূষার জন্য। তার সেই ধারার সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তার দ্বারা স্পৃষ্ট এবং তার যাত্রাপথের অনুগামী হিসেবেও জন্মদিনে তার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আহমাদ মাযহার : প্রাবন্ধিক, ছড়াকার ও গবেষক