হবিগঞ্জে শিমের ব্যাপক ফলন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হবিগঞ্জ জেলায় এ বছর শিমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। জেলার শিম এখন শুধু দেশের চাহিদা মেটানো নয়, বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বাহুবল, হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ, মাধবপুর উপজেলাসহ জেলায় ১৩ হাজার ৮৬ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। শুরুতে চাষিরা প্রতিকেজি শিম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

চাষিরা জানান, মে-জুন মাসে শিমের আগাম চাষ শুরু হয়। আগাম চাষ করা শিম বেশিদামে বিক্রি করা যায়। সাধারণত মৌসুমভিত্তিক আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে শিমের আবাদ শুরু হয়। চাষের ৯০ দিনের মধ্যে ফলন আসে এবং মার্চ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যায়।

হবিগঞ্জে আশ্বিনা, কাকিয়া, বোয়ালগাদা, বারি-১, বারি-২সহ কয়েকটি জাতের শিমের আবাদ হয়।

শিম চাষি জমির আলী বলেন, ২০০০ সালে থেকে তিনি শিম চাষ করে আসছেন। তার জমিতে শিমের ফলন ভালো। শিম চাষি মিজান মিয়া বলেন, বছরের সাত মাস শিমের ফলন হয়। কিন্তু পানির অভাবে শেষসময়ে ফলন কমে যায়।

জেলা কৃষি অফিস জানায়, জেলায় ১০ থেকে ১২ হাজার চাষি শিমের আবাদ করে। এরমধ্যে কমপক্ষে ৬ হাজার চাষি রয়েছেন, যারা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে আসছেন। তাদের ক্ষেতে ৪ থেকে ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন।

কৃষক নুরাজ মিয়া (৩৫) বলেন, তার তিন বিঘা জমিতে শিম আবাদে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এতে তিনি দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। হবিগঞ্জে উচ্চ ফলনশীল জাতের শিম কম। এতে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাচ্ছে না।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, পাহাড় ও হাওরবেষ্টিত হবিগঞ্জ জেলা। চলতি মৌসুমে শিম চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো। ১৫ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন শিম উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপপরিচালক জানান, হবিগঞ্জের টমেটো, শিমসহ কয়েকটি সবজি মালয়েশিয়া, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর